রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

রাজ্যের মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে ৩১ মে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ কেন্দ্রের, কটাক্ষ তৃণমূলের

May 29, 2021 | 2 min read

কয়েকদিন আগেই মুখ্যসচিব পদে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Alapan Banerjee) মেয়াদ বেড়েছিল। তার মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার বদলির নির্দেশ দিল আলাপনকে। আপাতত কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কাজ করতে হবে তাঁকে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আগামী ৩১ তারিখ, অর্থাৎ সোমবার সকাল ১০টায় তাঁকে দিল্লিতে কর্মিবৃন্দ ও প্রশিক্ষণ মন্ত্রকে হাজিরা দিতে হবে।

গত ২৪ মে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মুখ্যসচিব পদে তিন মাসের জন্য মেয়াদ বৃদ্ধি হয়েছে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গত বছর অক্টোবর মাসে মুখ্যসচিব পদে দায়িত্ব নিয়েছিলেন আলাপন। শেষ ৮ মাস ধরে তিনি এই দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। সোমবার মমতা জানান, সেই মেয়াদ আরও ৩ মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্তে সায় দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

মে মাসেই আলাপনের ৬০ বছর বয়স হয়েছে। এর পরও তাঁকে মুখ্যসচিব পদে রেখে দেওয়ার প্রস্তাব পাঠায় রাজ্য। কেন্দ্র তাতে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৮৭ সালের ব্যাচের আইএএস আলাপন রাজ্যের বিভিন্ন প্রশাসনিক স্তরে কাজ করেছেন। কলকাতা পুরসভার কমিশনার পদ ছাড়াও তিনি পরিবহণ ও শিল্প দফতরেও কাজ করেছেন তিনি। কোভিড মোকাবিলায় তাঁর ভূমিকার প্রশংসা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীও।

তৃণমূলের পক্ষ থেকে রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় জানান যে স্বাধীনতার পর এরকম ঘটনা বোধহয় ঘটেনি যেখানে জোর করে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে কাজ করতে পাঠানো। মোদী-শাহ জুটি আর কত নিচে নামবে, প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি বলেন মোদী-শাহদের মমতার কাছে বিধান সভা নির্বাচনে পর্যদুস্ত হওয়াই হল কারণ।


দলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ (Kunal Ghosh) শুক্রবার রাতে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘প্রতিহিংসার পথে হাঁটছে কেন্দ্র এবং বিজেপি। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি। করোনা এবং ইয়াস পরিস্থিতিতে এই বদলির নির্দেশের উদ্দেশ্য শুধু পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্ষতি করতে নয়, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের ক্ষতি করা।’’

কুণালের অভিযোগ, বিধানসভা ভোটে হেরে পশ্চিমবঙ্গবাসীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে চাইছে কেন্দ্র। তিনি জানান, আলাপনের আগামী ৩১ মে পর্যন্ত কার্যকালের মেয়াদ থাকলেও রাজ্যবাসীর স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা ৩ মাস বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন এবং সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদীর সরকার তাতে সায়ও দিয়েছিল। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, ‘‘ভোটে হারার পরে যত রকম ভাবে নোংরামো করা যায় ওরা (বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকার) সেটাই করছে।’’

এই ডেপুটেশনের প্রতিবাদ করেছেন প্রসার ভারতীর প্রাক্তন প্রধান জহর সরকারও।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#central Govt, #Alapan Banerjee

আরো দেখুন