বাংলায় নিম্নমুখী সংক্রমণের হার
প্রচুর টেস্টিংয়েও সবচেয়ে কম সংক্রামিতের খোঁজ মিলল শনিবার। এদিন ৬৩,৫১৮ জনের করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ১১,৫১৪ জন। অর্থাৎ রাজ্যে ক্রমেই কমছে সংক্রমণ। উল্লেখ্য, গত দু’দিন টেস্ট কম হওয়ায় করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা কম হয়েছে বলে একাধিক মহল সমালোচনা করেছিল। গত দু’দিন ৫৭ হাজারের আশপাশে পরীক্ষা হয়েছিল। কিন্তু এদিন পরীক্ষা বাড়ানোর পরেও দেখা যাচ্ছে, সংক্রমণের হার নিম্নমুখী। যত সংখ্যক পরীক্ষায় একসময় সংক্রমণ ২০ হাজার ছড়িয়েছিল, এখন সেই পরিমাণ পরীক্ষাতেই পজিটিভের সংখ্যা নেমেছে প্রায় ৯ হাজারেরও বেশি। সংক্রমণের এই নিম্নমুখী হার স্বস্তি দিচ্ছে চিকিৎসক মহলকেও। তবে মৃত্যুর সংখ্যায় এখনও খুব একটা হেরফের হয়নি। এদিনও রাজ্যে মৃতের সংখ্যা প্রায় দেড়শো ছুঁই ছুঁই। সব মিলিয়ে ১৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, সুস্থ হয়েছেন ১৮,৭৭৪ জন। টিকাকরণও এদিন সারা রাজ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
দেশের নামী এক অক্সিজেন প্রস্তুতকারী সংস্থা অক্সিজেন বুথ দিল বাঙ্গুর হাসপাতালকে। অনেক ক্ষেত্রেই হাসপাতালে রোগী ভর্তিতে সময় লাগে। ততক্ষণ কোনও রোগীকে অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন পড়লে তাঁকে রাখা যাবে এই অক্সিজেন বুথে। তাতে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে বিপদের আশঙ্কা অনেকটাই কমবে।
এদিকে, শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রায় ১৪ ঘণ্টার অপারেশনে প্রাণ বাঁচল এশা রায় নামে এক মহিলার। ওই মহিলা করোনা আক্রান্ত ছিলেন। সেই সঙ্গে তাঁর হার্টে জটিল সমস্যাও ছিল। বছর তিরিশের ওই মহিলা তিন সপ্তাহের বেশি সময় পিঠ ও বুকে ব্যথা নিয়ে মুর্শিদাবাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরপর সিটি স্ক্যানে তাঁর সমস্যা ধরা পড়ায় কলকাতায় আনা হয়।