জামিন পেয়েই ‘টক টু মেয়র’-এ ববি
হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের নির্দেশে ‘গৃহবন্দি’ দশা ঘোচার পর শুক্রবার ফের কোমর বেঁধে মহানগরীর নাগরিক সেবায় ঝাঁপিয়ে পড়লেন পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিহাদ হাকিম ববি (Firhad Hakim)। অংশ নিলেন তাঁর অনুপস্থিতিতে হপ্তা দুয়েক বন্ধ থাকা ‘টক টু কেএমসি’ (Talk to KMC) অনুষ্ঠানে। টেলিফোনে শুনলেন নানা নাগরিক সমস্যা, দিলেন সমাধানের পথও বাতলে। কোভিড মোকাবিলা সহ দৈনন্দিন পরিষেবা নিয়ে পুরসভার কর্মী-আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশও দিলেন।
জামিন মঞ্জুর হওয়া রাজ্য মন্ত্রিসভার প্রবীণ সদস্য সুব্রত মুখোপাধ্যায় বাড়িতে বসেই এদিন থেকে শুরু করলেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের কাজকর্ম। দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক সেরে টালিগঞ্জ এলাকার এক কালী মন্দিরে গিয়ে পুজোও দেন তিনি। প্রার্থনা সারেন মাজারে গিয়েও। গৃহবন্দি দশা ঘুচেছে কামারহাটিরঙ বিধায়ক মদন মিত্রেরও। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কিছু পরীক্ষার জন্য এদিনও তিনি ছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে, তবে পুরোপুরি খোশ মেজাজে। ফেসবুক লাইভে সেই মেজাজেই রবীন্দ্র সঙ্গীত শুনিয়েছেন অনুরাগীদের—এই আকাশে আমার মুক্তি আলোয় আলোয়……….। আজ রবিবার সকালে ধুতি-পাঞ্জাবিতে বাঙালিবাবু সেজে বাড়ি ফিরবেন তৃণমূলের এই বিধায়ক।
এদিন বেলা ১২টার পরে কেন্দ্রীয় পুরভবনে আসেন ববি হাকিম। দু’সপ্তাহ পরে মুখ্য প্রশাসককে কাছে পেয়ে কর্মিমহলের উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল তুঙ্গে। বেশ কয়েকজন ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরও উপস্থিত ছিলেন। গাড়ি থেকে নেমে সিঁড়ি বেয়ে যখন ওপরে উঠছিলেন করতালিতে দিয়ে অভ্যর্থনা জানান সবাই। বেলা ১টার সময় শুরু হয় টক টু কেএমসি অনুষ্ঠান। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে টেলিফোন করে নাগরিকরা শুভেচ্ছা জানান ববিকে। নাগরিক পরিষেবা সংক্রান্ত নানা অভিযোগের সঙ্গেই করোনা আক্রান্তকে হাসপাতালে ভর্তি করে দেওয়ার আর্জিও আসে মুখ্য প্রশাসকের কাছে। নিজের টেলিফোন নম্বর দিয়ে সেই নাগরিককে তাঁর সঙ্গে দ্রুত যোগযোগ করার পরামর্শ দেন ববি। করোনা আক্রান্তকে ভর্তির ব্যবস্থা করেন ফুলেশ্বরের একটি কোভিড হাসপাতালে। মন্ত্রিসভার প্রবীণ সদস্য সুব্রতবাবু কাল, সোমবার থেকে নিজের দপ্তরে যাবেন বলে জানিয়েছেন। আজ, রবিবার ইসলামিয়া হাসপাতালের কোভিড ইউনিটের উদ্বোধন করবেন ববি হাকিম। আর বাড়ি ফিরে নিজের বিধানসভা কেন্দ্র কামারহাটিতে যেতে চান মদনবাবু।