পেট্রল ১০০ টাকা ছাড়াল, অগ্নিমূল্য বাজার
মুম্বইতে ১০০ টাকা পেরিয়ে গেল লিটার প্রতি পেট্রলের (Petrol) দাম। ডিজেল (Diesel) ৯২ টাকার বেশি। পেট্রল ও ডিজেলের দাম রাজ্যভেদে ভিন্ন হয় পৃথক করকাঠামোর কারণে। রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশেও ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে পেট্রলের দাম। একদিকে যেমন পেট্রপণ্যের দাম সর্বকালীন রেকর্ড করে আকাশছোঁয়া হয়েছে, তেমনই গৃহস্থের রান্নাঘরেও আগুন লেগেছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি পণ্যের দাম আচমকা বেড়ে গিয়েছে। ভোজ্যতেল, সব্জি, ডাল, ডিম, ফল, মাছ, মাংস ইত্যাদি এমন কোনও খাদ্যপণ্য নেই, যার দাম বাড়েনি। এখনও বর্ষাকাল আসেনি। এভাবে হঠাৎ নিত্যপণ্যের পাশাপাশি সব্জির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে রীতিমতো নাজেহাল সাধারণ মানুষ। এপ্রিল মাসের পাইকারি মূল্যসূচক সাড়ে ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়ার পরই আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। বিশেষ করে ডিজেলের দামের প্রভাব যে বাজারে পড়তে চলেছে সেরকম একটা আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। কিন্তু খাদ্যশস্যের বিপুল ফলনের জেরে আশা করা হয়েছিল চাহিদা ও জোগানের ভারসাম্য বজায় থাকবে। কিন্তু সেই আশাভঙ্গ হয়েছে।
প্রায় নিয়ম করে ১০ থেকে ১৫ দিন অন্তর বাড়ছে ডিমের দাম। সরষের তেল, বাদাম তেল, সাদা তেলের দামও এক লাফে বেড়েছে অনেকটাই। খুচরো মূল্য সূচক ৫ শতাংশের কম হয়েছিল মার্চ মাসেই। কিন্তু তার কোনও প্রতিফলন বাজারে নেই। সরষের তেল কমবেশি ১৮০ টাকা প্রায় গোটা দেশেই। কিন্তু কয়েকদিন ধরে কিছু এলাকায় ২০০ থেকে ২২৫ টাকাও নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, কৃত্রিম অভাব তৈরি করেই এভাবে দাম বাড়ানো চলছে। করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণ আসার পর রাজ্যে রাজ্যে স্থানীয়ভাবে লকডাউন হয়েছে। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবিকায় ধাক্কা লেগেছে। বহু মানুষের নিয়মিত আয় বন্ধ। এমতাবস্থায় যেভাবে সব্জি ও মুদিবাজারে ধাক্কা লেগেছে তাতে নতুন করে সঙ্কট উপস্থিত।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর সম্প্রতি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা এখনই কমবে না। সেই কারণে রিজার্ভ ব্যাঙ্কও রেপো রেট নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। বর্তমানে খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নীতি নির্ধারণ কমিটির কাছে বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠবে বলেই মনে করা হচ্ছে।