এবার দলের বিরুদ্ধে সরব হয়ে বিতর্কে বিজেপি নেতা তথাগত রায়
একুশের ভোটে বাংলায় BJP-র বিপর্যয়ের পর দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে একের পর এক টুইট করে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন তথাগত রায় (Tathagata Roy)। এবার কার্যত যেন আক্ষেপের সুর শোনা গেল তথাগতর গলায়। তথাগত বললেন, ‘আমি এখন আর BJP নেতা নেই, সদস্য মাত্র’। তাহলে কি দলের প্রতি তার কোনও অভিমান রয়েছে? যদিও এই প্রসঙ্গে তাঁর সোজাসাপটা জবাব, ‘ক্ষোভ-অভিমানের জায়গা নেই। যেটা সত্যি, সেটাই বলেছি’। কিন্তু, একদা রাজ্য BJP সভাপতি ছিলেন তো আপনি! একথা শোনামাত্রই তথাগত বললেন, ‘সেসব অতীত’। দলীয় নেতৃত্বের উপর যে সুরে সরব হতে দেখা গিয়েছে তথাগতকে, সেই প্রেক্ষিতে BJP নেতার এই মন্তব্য রাজনৈতিক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে পর্যবেক্ষক মহলের।
ভোটের মুখে তৃণমূলের নেতাদের BJP-তে যোগদান নিয়ে আগেই সুর চড়িয়েছিলেন তথাগত। সম্প্রতি BJP ছেড়ে ফের তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন সোনালি গুহ, সরলা মুর্মুরা। এ নিয়ে এবার দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন ওই BJP নেতা। এই প্রসঙ্গে এদিন ফের তথাগত বলেন, ‘আমি যেটা বলেছিলাম সেটাই হচ্ছে। যেটা আন্দাজ করেছিলাম, ভয় পেয়েছিলাম, সেটাই হচ্ছে’। কেন এমনটা হচ্ছে? এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়েই তথাগত বলেন, ‘দলের লোকেরাই বলতে পারবেন। আমি তো এখন আর BJP নেতা নই। আমি সদস্য মাত্র’।
তথাগত আরও বলেন, ‘দিল্লিতে গিয়ে আমার বক্তব্য জানাতে বলা হয়েছিল। কোভিডের জন্য যেতে পারিনি। দলের হেরে যাবার কারণ সম্পর্কে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছি। অর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কোনও বিষয় নেই। যা বলার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানাব’। উল্লেখ্য, ক’দিন আগেই টুইটারে তথাগত রায় লিখেছিলেন, ‘যা বলেছিলাম ঠিক তাই। কাছা খুলে যাদের বিজেপিতে স্বাগত করা হয়েছিল, যাদের খাতিরে বিজেপির বিশ-ত্রিশ বছরের পুরোনো কর্মীদের চরম উপেক্ষা করা হয়েছিল তারা সবাই এক এক করে তৃণমূলে ফিরে যাচ্ছে’।
এর আগে তারকাদের প্রার্থী করা নিয়ে দিলীপ ঘোষ, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়দের নাম করে নিশানা করেছিলেন তথাগত। ফেসবুক পোস্টে তথাগত রায় লিখেছিলেন, ‘পায়েল শ্রাবন্তী তনুশ্রী ইত্যাদি ‘নগরীর নটীরা’ নির্বাচনের টাকা নিয়ে কেলি করে বেড়িয়েছেন আর মদন মিত্রর সঙ্গে নৌকাবিলাসে গিয়ে সেলফি তুলেছেন (এবং হেরে ভূত হয়েছেন) তাঁদেরকে টিকিট দিয়েছিল কে ? কেনই বা দিয়েছিল? দিলীপ-কৈলাশ-শিবপ্রকাশ-অরবিন্দ প্রভুরা একটু আলোকপাত করবেন কি ?’ শ্রাবন্তী-পায়েলদের রাজনৈতিক বুদ্ধিমত্তা নেই বলেও সরব হন তথাগত। সেই সঙ্গে মদন মিত্রকে প্লে বয় বলেও বিঁধেন তিনি।