বাজার-বস্তিতে স্যানিটাইজেশনে সাফল্যেই সংক্রমণ নিম্নমুখী, মত পুরকর্তাদের
দীর্ঘ প্রায় দু’মাসের লড়াই। সাময়িক আত্মশাসনে আপাতত শিকল পড়ানো গিয়েছে সংক্রমণে। সেই গ্রাফকে নিম্নমুখী করতে দ্রুত ভূমিকা নিয়েছে নিয়মিত জীবাণুনাশক ছড়ানোর কাজ। তেমনটাই মনে করছেন পুরকর্তারা। চলতি বছরে শহরজুড়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করার কাজে বিশেষ ড্রাইভ দিয়েছিল কলকাতা পুরসভা (KMC)।
তথ্য বলছে, ১০ এপ্রিল কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৯৯। ৩০ এপ্রিল সেটা কার্যত ১০ গুণ বেড়ে দাঁড়ায় ৩৯২৪ জন। ১৬ মে যেদিন লকডাউন শুরু হয়, সেদিনও আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৪৫১ জন। ২০ মে সংক্রমণ কমতে শুরু করে। এক ধাক্কায় কিছুটা কমে ৩৪৬১ জন হয়। এবার সেই সংক্রমণের গ্রাফ কার্যত নিম্নমুখী। এই সাফল্যের পিছনে জীবাণুমুক্তকরণ কর্মসূচিকে অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন পুরকর্তারা। বিভাগ সূত্রে খবর, করোনা (Covid 19) আক্রান্তদের বাড়ির ও অঞ্চলের পাশাপাশি বাজার, বস্তিতে জীবাণুনাশক ছড়ানোর ক্ষেত্রে বিশেষ জোর দেওয়া হয়।
প্রত্যেক ওয়ার্ড পিছু বাড়তি দু’জন করে লোক নিয়ে তাঁদের কাজে নামানো হয়েছে। এছাড়াও জঞ্জাল সাফাই বিভাগের স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মী, ১০০ দিনের কর্মীরাও দিনরাত কাজ করছেন। ৪৮৪টি ছোট মেশিন দিয়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। বড় রাস্তায় এবং বড় বাড়ির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে দু’টো মিস্ট ক্যানন। ২০টি গাড়ির উপর ট্যাঙ্কার বসিয়ে স্প্রে করা হচ্ছে। ১২টা ওয়াটার স্প্রিংলার কাজ করছে।
কলকাতা পুরসভার সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত দেবব্রত মজুমদার বলেন, গত বছর আমরা এই কাজটা যথেষ্ট ভালো করে করতে পেরেছিলাম। এ বছরও বাড়তি আয়োজন করে নামা হয়েছে।