শেষ হল সোমবারের শুনানি, নারদ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামীকাল
পশ্চিমবঙ্গেই থাকবে না অন্যত্র সরবে নারদ মামলা? তা নিয়েই সোমবার দুপুরে শুনানি শুরু হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court)। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই চাইছে নারদ মামলা (Narada Case) অন্যত্র সরিয়ে সরাতে।
১৭ মে নারদ-কাণ্ডে ৪ নেতা-মন্ত্রীর গ্রেফতারের পর নিজাম প্যালেসের ভিতরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্না এবং বাইরে জনতার বিক্ষোভ। এই ঘটনাগুলিকে হাতিয়ার করেই নারদ মামলা অন্য রাজ্যে সরানোর সওয়াল করেছে সিবিআই।
যার জন্য এই মামলায় রাজ্যকেও পার্টি হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে বলা যায়, এই মামলায় প্রভাবশালী তত্ত্ব প্রমাণ করতে মরিয়া কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। নারদ মামলার শুনানির জন্য ইতিমধ্যেই গঠিত হয়েছে পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ। সেই বেঞ্চ ২৮ মে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছে ৪ নেতা-মন্ত্রীকে। ওই বেঞ্চেই হয় সোমবারের শুনানি।
এদিন মামলার শুনানি শুরু হতেই এই আবেদন যাতে না শোনা হয়, সেই আর্জি জানান রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। পাঁচ সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চকে কিশোর দত্ত বলেন, ‘এই মামলা এই আদালত শুনতে পারে না।’ এদিকে আজকের মতো শুনানি শেষ হলেও কোনও রায় দেওয়া হয়নি আদালতের তরফে।
এদিন মামলার শুনানি শুরু হতেই রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত তিনটি বিষয় উত্থাপন করেন। তিনি দাবি করেন, ১৭ মে ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি না শুনেই রায় দিয়েছিল। তাছাড়া তাঁর দাবি, ফৌজদারি মামলা অন্য রাজ্যে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিতে পারে না এই আদালত। পাশাপাশি কিশোর দত্তের যুক্তি, ডিভিশন বেঞ্চের বিষয় পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ শুনতে পারে না।
এরপরই এই যুক্তি নিয়ে দুই পক্ষের বিতর্ক শুরু হয়। তা থামাতে আদালতের তরফে বলা হয়, আমরা সব পক্ষের কথাই শুনব। এদিকে বেঞ্চের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলায় রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে কড়া ভাষায় কথা শোনান বিচারপতি সৌমেন সেন এবং হরিশ টন্ডন। আদালতের তরফে বলা হয়, ‘এখন বেঞ্চের দক্ষতা নিয়ে আপনি প্রশ্ন তুলছেন। আপনার কথা মতো আমরা পিছিয়ে যেতে পারি না। আপনাদের এই আপত্তির কথা সুপ্রিমকোর্টে জানানো উচিত ছিল।’
এরপর সিবিআই-এর তরফে সওয়াল করার অনুমতি চান সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি বলেন, গত ৪৫ মিনিট ধরে অন্য বিষয়ে কথা বলা হচ্ছে। আমাকে বলতে দেওয়া হোক এবার। এরপরই নারদ মামলাটি অন্য রাজ্যে স্থানান্তরের আবেদন আদালতে পেশ করেন তুষার মেহতা। তবে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে সিবিআইয়ের আইনজীবীদের পাঠানো আবেদনের সব ফাইল আসেনি। এরপরই আজকের মতো স্থগিত হয় শুনানি।