কলকাতা হাইকোর্টে আজ নারদ মামলার শুনানি
শেষ হয়েও শেষ হয়নি নারদ মামলা। গৃহবন্দি দশা থেকে মুক্তি পেলেও এই মামলাকে প্রভাবশালী হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই মোতাবেক মামলা পশ্চিমবঙ্গের বাইরে সরিয়ে নেওয়ার আর্জিও জানান হয়েছিল। এদিন সেই মামলার শুনানি (hearing) হওয়ার কথা রয়েছে।
নারদ-কাণ্ডে (Narada case) প্রভাবশালী তত্ত্ব কতটা যুক্তিযুক্ত তা বিচার করবে হাই কোর্টের ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ। তৃণমূলের চার হেভিওয়েট নেতার জামিন এবং গৃহবন্দী নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta high court) ধাক্কা খেয়েছে সিবিআই। যদিও তাঁদের তরফে দাবি রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা, সিবিআইয়ের কাজে বাধাদান এবং নিম্ন আদালতকে প্রভাবিত করার মতো বিষয়গুলো থাকছে এ রাজ্যে। তাই অন্যত্র এই মামলা নিয়ে যাওয়ার আর্জি জানান হয়েছিল।
নারদ-কাণ্ডে ১৭ মে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন রাজ্যের ৪ নেতা-মন্ত্রী। সিবিআই অফিসেই ৫ ঘন্টা বসে থেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তপ্ত হয়েছিল নিজাম প্যালেসও। প্রভাবশালী তত্ত্বকে হাতিয়ার করেই এই মামলা অন্যত্র সরাতে লড়াই করবেন সিবিআই, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
যদিও কোনও মামলা এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে নিয়ে যেতে গেলে সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি প্রয়োজন। নিয়ম অনুযায়ী, ভিন রাজ্যে কোনও মামলা স্থানান্তরের অনুমতি দিতে পারে না হাই কোর্ট। রাজ্যের অন্যত্র সরানো যেতে পারে শুধু। তাই হাইকোর্ট কি রায় দেয় সেদিকেই তাকিয়ে সিবিআই থেকে রাজ্য।