রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

অনলাইনে বীরভূমবাসীদের সঙ্গে গল্প করলেন শতাব্দী রায়

May 31, 2021 | 2 min read

সাংসদ ও অভিনেতা শতাব্দী রায় (Satabdi Roy) নিজের ফেসবুকে ‘মন কেমন করা’ পোস্ট করেছিলেন আগেই। ওই পোস্ট দেখে সাড়া দিয়েছিল আমজনতা। নিঃসঙ্গ জীবনের গল্প লিখেছিলেন তারা। মানুষে মানুষে দূরত্বের এই কালবেলায় মন খারাপের দীর্ঘশ্বাস যেন জীবনটাকে দমবন্ধ করে দেবে, আশঙ্কা করেছিলেন অনেকে। কিন্তু সেই নিঃসঙ্গতা কাটাতে নিজেই রাস্তা বের করলেন শতাব্দী। আমজনতার মাঝে নিজেও খুঁজে পেলেন বাঁচার রসদ। চার দিন হলো তিনি শুরু করেছেন, ‘অল্প অল্প গল্প’। ভার্চুয়াল মাধ্যমে অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পেরে খুশি গৃহবধূ থেকে কলেজ পড়ুয়া। শতাব্দীর কথায়, ‘ছোট্ট ছোট্ট ভালো লাগা, খারাপ লাগা একসঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য এই প্রচেষ্টা।’ বীরভূমের সাংসদ বলেন, ‘আমার কাছের বন্ধুরা, আমার লোকসভার ভোটাররা অনেকেই বলেছিলেন, ফেসবুক লাইভে আসুন। কিন্তু আমি দেখলাম, তাতে মানুষের সঙ্গে মন খুলে কথা বলা যাবে না। তাঁদের মুখগুলো দেখতে পাব না। তাঁদের কথার উত্তর দিতে পারব না। তাই ভার্চুয়ালে ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে অনেককে একসঙ্গে নিয়ে অনুষ্ঠান করার উদ্যোগ নিলাম। ”শুধুই গল্প অল্প অল্প’তে অংশ নেওয়ার জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার অনুরোধ আসছে। আমি খুবই আনন্দিত।’

শতাব্দী রায়ের সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে কথা বলার জন্য ভিড় বাড়ছে প্রতিদিনই। রবিবার অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর সিউড়ির বাসিন্দা ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান বলেন, ‘অনলাইনে প্রায় এক ঘণ্টা কী ভাবে ঝড়ের গতিতে কেটে গেলো বুঝতেই পারলাম না। আমার মা ও স্ত্রী দু’জনেই খুব খুশি। পরিবারের বাকি সদস্যরা গল্প শুনে উচ্ছ্বসিত। আমার স্ত্রী তো শতাব্দী দিদিকে অনেক কথা বলবে বলে আগে ঠিক করেছিল। ভিডিয়ো কলে সামনে আসার পর সব ভুলে গিয়েছে। এখন পস্তাচ্ছে। ধন্যবাদ শতাব্দী দিদিকে। নিজের ব্যস্ত জীবন থেকে এভাবে সময় বের করে আমাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য।’ শতাব্দী বলেন, ‘মানুষের যে এত আগ্রহ, আমি ভাবতেও পারিনি। যতদিন পারব এই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।’

শতাব্দীর সঙ্গে গল্প করতে শুধু বীরভূম নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও অনুরোধ পাঠাচ্ছেন অনেকে। অভিনেত্রীর এই উদ্যোগে টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিয়েছেন তাঁর পুত্র। সাংসদের সঙ্গে গল্প করার এতটাই চাহিদা যে প্রতিদিন দুটো করে সেশন করতে হচ্ছে। শতাব্দী নিজে গল্প বলছেন তা নয়। যারা লাইভে আসছেন তাদের কথাও মন দিয়ে শুনছেন অভিনেত্রী। গল্প বলার আসরে জনতার দাবিও মানতে হচ্ছে অনেক সময়। বীরভূমের মুরারই-এর শিক্ষিকা মধুরিমা চট্টোপাধ্যায়ের দাবি মতো অনেক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি। হবু চিকিৎসক ইন্দ্রনীল মণ্ডলের দাবি মেনে গানও গাইতে হয়েছে শতাব্দীকে। এমনই বহু আব্দার আনন্দের সঙ্গে মেনে নিয়েছেন তিনি। রামপুরহাটের বাসিন্দা গৃহবধূ কাকলি মণ্ডল বলেন, ‘বাড়িতে বসে এত বড় মাপের একজন অভিনেত্রী এবং সাংসদের সঙ্গে আলাপচারিতায় অংশ নিতে পারব সেটা কোনওদিন ভাবিনি। একদম বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ। গৃহবন্দি অবস্থায় অনেক আনন্দ পেলাম।’

তবে ‘শুধুই গল্প অল্প অল্প’ এই আলাপচারিতায় কোনও রাজনৈতিক আলোচনা নয় বলে আগেই জানিয়েছিলেন শতাব্দী। সাংসদের এই উদ্যোগে খুশি বীরভূমের আমজনতা। সকলের সঙ্গে গল্প করতে পেরে খুশি শতাব্দীও।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#satabdi roy, #birbhum, #Facebook

আরো দেখুন