মুখ্যসচিবকে নিয়ে বল এখন দিল্লির কোর্টে, বললেন মমতা
সোমবার সকাল ১০টায় নর্থব্লকে কর্মিবর্গ মন্ত্রকে রিপোর্টিংয়ের টাইম ছিল বাংলার মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু ঠিক ১০টার আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পাঁচ পাতার কড়া চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । তারপর দেখা যায়, যথারীতি নবান্নে এসেছেন আলাপনবাবু। দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকেও উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিলেন, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় (Alapan Bandyopadhyay) ইস্যুতে বল এখন কেন্দ্রের কোর্টে। দিল্লি কী করে দেখে নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কেন্দ্র কি সিদ্ধান্ত নেয়, আমরা সেইদিকে তাকিয়ে আছি। ওরা চিঠি দিয়েছিল, আমরা তার উত্তর দিয়েছি। এখন ওরা সিদ্ধান্ত নিলে তখন তার উত্তর আবার দেব। আপাতত আমার হাতে কিছু নেই।”
আলাপনবাবুকে সদ্যই তিন মাসের এক্সটেনশন দিয়েছে কেন্দ্র। রাজ্য সরকার তাঁর চাকরির মেয়াদ তিন মাস বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছিল। কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব তাতে সিলমোহর দেন। না হলে আজ ৩১ মে ছিল আলাপনবাবুর অবসরের দিন।
কিন্তু পরিস্থিতি অন্য দিকে মোড় নেয় শুক্রবার রাতে। ওই দিন দুপুরে কলাইকুণ্ডাতে ইয়াস নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করতে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। কিন্তু সেই বৈঠকে যোগ দেননি মুখ্যমন্ত্রী। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর হাতে তথ্য তুলে দিয়ে দিঘায় চলে গিয়েছিলেন মমতা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিবও। প্রোটকল অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে কেন মুখ্যসচিব ছিলেন না তা নিয়ে কড়া ব্যবস্থা নেয় দিল্লি। সেই রাতেই চিঠি পাঠিয়ে সোমবার দিল্লি তলব করা হয় আলাপনবাবুকে। পরের দিন মমতা এই সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে অভিযোগ তোলেন।
প্রাক্তন আমলাদেরও অনেকে আলাপনকে এই দিল্লিতে বদলি নিয়ে কেন্দ্রের গা জোয়ারির অভিযোগ তুলেছেন। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে যে কথা মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন এদিন পাঁচ পাতার চিঠিতে সেসবই লেখেন প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে। এখন নবান্ন তাকিয়ে রয়েছে দিল্লির দিকে। দিল্লির পদক্ষেপ দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার।