রাজ্যের কোন হাসপাতালে কত বেড, জানা যাবে এই ওয়েবসাইটে
মানুষের বেঁচে থাকার প্রধান রসদ অক্সিজেন (Oxygen)। আর তাই নিয়ে অভাব কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না রাজ্য প্রশাসন। তাই স্বাস্থ্য দফতর তৈরি করেছে অক্সিজেন ওয়েবসাইট। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্যভবন। ওয়েবসাইট থেকেই জানা যাবে, কোন হাসপাতালে কত সিলিন্ডার বা কনসেন্টট্রেটর কাজ করছে। সেই তথ্যে চোখ রেখেই গুরুতর রোগীকে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হবে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ (COVID Second Wave) যত মারাত্মক হয়েছে, ততই চাহিদা বেড়েছে মেডিক্যাল অক্সিজেনের। অবস্থা সামাল দিতে ফাঁকা অক্সিজেন সিলিন্ডার কেনা হয়েছে। কেনা হয়েছে অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর। এমনকী, স্বাস্থ্য দপ্তরের অধীনস্থ মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট বোর্ড স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং জনসাধারণকে এই যন্ত্র দান করতে বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করে। স্বাস্থ্যভবনের এই আবেদনে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এগিয়ে এসেছে।
এমনকী, অভাব মেটাতে বিদেশ থেকেও অক্সিজেন কনসেনট্রেটর পাঠানো হয়েছে। সেইসব যন্ত্র জেলার কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জীবন ফিরে পেয়েছেন ক্রিটিক্যাল কোভিড (Covid 19) রোগীরা। কিন্তু স্বাস্থ্যকর্তাদের অভিমত হল, কোন জেলার কোন কোভিড হাসপাতালে এমন জীবনদায়ী যন্ত্র কত রয়েছে তা ষ্পষ্ট নয়। ফলে প্রত্যন্ত এলাকার কোভিড হাসপাতাল বা প্রাথমিক অথবা গ্রামীণ হাসপাতালে প্রয়োজন থাকলেও পাঠানো যাচ্ছে না। আর এই সমস্যার সুষ্ঠ সমাধানের জন্য শুরু হবে অক্সিজেন ওয়েবসাইট।
সূত্রের খবর, রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব এমন নির্দেশ জারি করতে চলেছেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজের এমএসভিপি এবং জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিককে আলাদাভাবে হিসাব রাখতে হবে। কোন হাসপাতালে কত অক্সিজেন কনসেন্টট্রেটর বা সিলিন্ডার রয়েছে তা যেমন জানাতে হবে। তেমনই কৃত্রিম অক্সিজেনের চাহিদা বাড়ছে না কমছে তা যথেষ্ট কারন দিয়ে জানাতে হবে। এইসব তথ্য ওয়েবসাইটে যুক্ত করতে হবে।