দুয়ারে ত্রাণ নিয়ে একাধিক ‘প্রশাসনিক’ নজরদারির ঘোষণা
দুয়ারে ত্রাণ (Duare Traan) প্রকল্পের কাজ সরকারি আধিকারিকরাই করবেন। কোন পঞ্চায়েত অফিস বা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে এই প্রকল্পের কাজ হবে না। সরকারি অফিস বা স্কুলে এই দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্পের কাজ করতে হবে। অ্যাপ্লিকেশন জমা নিয়ে সেগুলিকে ডিজিটালাইজড করতে হবে। এপ্লিকেশনগুলোকে স্কুটিনি করতে হবে প্রয়োজনে যারা অ্যাপ্লিকেশন করছেন সেখানে গিয়ে সরকারি আধিকারিকরা তথ্য যাচাই করার জন্য পরিদর্শন করবেন। এমনই একগুচ্ছ নির্দেশ দিল নবান্ন (Nabanna)।
মঙ্গলবার জেলাশাসকের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন নব নিযুক্ত মুখ্য সচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেই বৈঠকেই তিনি এই নির্দেশ দেন বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। নির্দেশিকায় বলা হয় প্রত্যেকটি জায়গায় ড্রপবক্স রাখতে হবে। দুয়ারে ত্রাণের জন্য সবসময় ডেটা আপলোড করতে হবে তার জন্য একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট দিয়ে দেওয়া হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা পূর্ব মেদিনীপুর পশ্চিম মেদিনীপুর এবং হাওড়া জেলাতেই প্রাথমিকভাবে দুয়ারে ত্রাণের কাজ হবে বলেই জানানো হয়।
প্রত্যেকটি দপ্তর কীভাবে দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্পের অধীনে টাকা দেবে সেই সম্পর্কিত একটি প্রশিক্ষণ ও কার্যত এদিন দেওয়া হয় জেলাশাসকদের। ভিডিও কনফারেন্সের বৈঠকে সুপার স্প্রেডারদের ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করারও নির্দেশ দেওয়া হয় মুখ্য সচিব ও স্বাস্থ্য সচিবের তরফের জেলাশাসক দের। আগামী ৩ তারিখ থেকে শুরু হতে চলেছে দুয়ারে ত্রাণর কাজ। তার আগে জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি। সবরকমভাবে সুষ্ঠু ত্রাণ বন্টন যাতে হয় এবং কোথাও কোনও দুর্নীতির অবকাশ যাতে না থাকে সেদিকে কড়া দৃষ্টি থাকছে নবান্নের আধিকারিকদের।