ইস্তফার দেওয়ার হুমকি ইস্টবেঙ্গল কমিটির! বাড়ছে জটিলতা
রফাসূত্র মিলছে না। বরং বিপদ আরও বাড়ছে লাল-হলুদ শিবিরের অন্দরে। গতকাল সন্ধ্যাতেই ইস্টবেঙ্গলের কার্যকরী বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে ইনভেস্টরের সঙ্গে চুক্তিপত্রে সই করা হবে না। সেক্ষেত্রে যদি তাঁদের ওপর অতিরিক্ত চাপ দেওয়া হয়, তাহলে গোটা কমিটি ইস্তফা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে টার্ম শিট এবং চূড়ান্ত চুক্তিপত্রের মধ্যে পার্থক্যগুলো খুঁটিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আর তারপরেই সই না করার এই সিদ্ধান্ত।
ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) ফুটবল সচিব সৈকত গঙ্গোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে সাফ জানালেন, “ক্লাবের বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে যে চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে সই করা হবে না। তবে যদি সই করার ব্যাপার জোর করা হয়, সেক্ষেত্রে কমিটির প্রত্যেকেই গণইস্তফা দিতে প্রস্তুত।” সেইসঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, “আমাদের ক্লাব সচিব কল্যাণ মজুমদার এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত পোষন করেছেন। আর এই সিদ্ধান্ত ক্লাব সভাপতি প্রণব দাশগুপ্তকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, কোনওক্ষেত্রেই মাথা নত করে সই করা হবে না।”
প্রসঙ্গত, আইএসএলে (ISL) খেলার জন্য চলতি মাসের ১৬ তারিখ এফএসডিএলের কাছে অর্থ জমা দেওয়ার শেষ দিন পার হয়ে গেছে। এফএসডিএলের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই একাধিকবার শ্রী সিমেন্টের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে যে ইস্টবেঙ্গল সামনের মরশুমে আইএসএলে খেলবে কি না। সে কথাও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিল। চিঠিতে আবার স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে, চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে সই না করলে তারা নতুন করে বিনিয়োগ করবে না। একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেছে, দুপক্ষের বিবাদ সহজে মিটবে না।
এদিকে আবার উল্টো গেরো! শ্রী সিমেন্টের কর্ণধার হরিমোহন বাঙুর ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছিলেন চুক্তিপত্রে সই না হলে তিনি কোনও আলোচনায় বসবেন না।আর গতকাল গতকালই কার্যকরী বৈঠকের পরই রাতে এসসি ইস্টবেঙ্গলের টুইটার অ্যাকাউন্টও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিনিয়োগকারী সংস্থার পক্ষ থেকে গতকাল টুইট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী নির্দেশের আগে এসসি ইস্টবেঙ্গলের সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়ার কাজকর্ম স্থগিত রাখা হচ্ছে। এত ভালোবাসা এবং সমর্থনের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ।