কেরোসিনের দাম বেড়ে ৪২ টাকা, মাথায় হাত নিম্নবিত্তের
পেট্রল-ডিজেলের মতো কেরোসিনের (Kerosene) মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত। রেশন দোকানের মাধ্যমে বিক্রি হওয়া কেরোসিনের দাম জুন মাসে লিটারে প্রায় আড়াই টাকা বাড়িয়েছে কেন্দ্র। রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি চলতি মাসে কেরোসিনের যে বেসিক প্রাইস বা মূল দাম নির্ধারণ করেছে তাতে কলকাতায় লিটার প্রতি দাম ৪২ টাকার বেশি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। মে মাসে এই দাম ছিল প্রায় ৪০ টাকা।
তেল সংস্থাগুলি প্রতি মাসে কেরোসিনের বেসিক প্রাইস নির্ধারণ করে। তার সঙ্গে জিএসটি, পরিবহণ খরচ, ডিলার-ডিস্ট্রিবিউটরদের কমিশন প্রভৃতি যুক্ত করে রেশন গ্রাহকদের খুচরো ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করে রাজ্য খাদ্যদপ্তর সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, তেল সংস্থার হাওড়ার মৌড়িগ্রাম ডিপো থেকে সরবরাহ করা প্রতি কিলো লিটার (১ হাজার লিটার) কেরোসিনের মে মাসে মূল দাম ছিল ৩২ হাজার ৪৬৯ টাকা। সেটা জুন মাসে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩৪ হাজার ৯৪৭ টাকা। প্রতি কিলো লিটারে মূল দাম বেড়েছে ২৪৫১ টাকা। ফলে মৌড়িগ্রাম থেকে সরবরাহ করা প্রতি লিটার কেরোসিনের খুচরো বিক্রয় মূল্য লিটারে ২ টাকা ৬০ পয়সা
বাড়তে পারে।
মৌড়িগ্রাম থেকে সরবরাহ করা কেরোসিন কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় পাঠানো হয়। পরিবহণ খরচের পার্থক্যজনিত কারণে রেশনে বিক্রি হওয়া কেরোসিনের দাম জেলা ভিত্তিতে কিছুটা বেশিকম হয়। গত কয়েক মাস ধরে কেরোসিনের দাম নিয়মিত বাড়ছে। গতমাসে শুধু অনেকটা কম হারে বেড়েছিল, লিটারে মাত্র ১০ পয়সা।
এদিকে রাজ্য খাদ্যদপ্তর বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, জুন মাসে ডিজিটাল রেশন কার্ড গ্রাহকরা মাথাপিছু ৫০০ মিলির বদলে ৫৫০ মিলি কেরোসিন পাবেন। রাজ্যের কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় রেশন গ্রাহকদের ১ লিটার এবং নন ডিজিটাল রেশন কার্ডে দেড়শো মিলি তেল দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। ৮ কোটিরও বেশি রেশন গ্রাহকের জন্য এখন কেরোসিনের বরাদ্দ
৫০০ মিলি।
রাজ্যের জন্য প্রতি তিনমাসে যে পরিমাণ কেরোসিনের কোটা দেওয়া হয় তা থেকে কিছুটা অতিরিক্ত থেকে যাচ্ছে। তাই এমাসে অতিরিক্ত বরাদ্দ করা হয়েছে। কেরোসিন ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক গুপ্ত জানিয়েছেন, প্রতি তিনমাসে ৫-৬ হাজার কিলো লিটার তেল অতিরিক্ত হয়ে যাচ্ছে। পুরো কোটা তোলা যাচ্ছে না। সব রেশন গ্রাহককে সমহারে কেরোসিন বণ্টন হলে এই সমস্যা হতো না।