দুর্নীতিগ্রস্তদের রেয়াত করা হবে না, তাজপুরে শুভেন্দু-রাজীবকেই নিশানা অভিষেকের
বাঁধগুলো ভেঙে গিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় যশের ধাক্কায় রাস্তাও প্রায় নেই বললেই চলে। তাজপুরের সেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাতে দাঁড়িয়েই নাম না করে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের (Rajib Banerjee) ফের হুঁশিয়ারি দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। নাম না করে তিনি বললেন, ‘‘মানুষের মুখের গ্রাস কেড়ে যাঁরা নিজের সম্পত্তি বৃদ্ধি করেছে, তাঁদের একজনকেও রেয়াত করা হবে না। তদন্ত হবে। আমার তো মনে হয়, কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরোবে। একটা পরিবারকে বাঁচাতে গোটা জেলার সর্বনাশ করা হল। আমি কথা দিচ্ছি, কেউ রেহাই পাবে না। চুরি ধরা পড়বেই।’’
যশের পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরে যান অভিষেক। সেখানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন রামনগরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি। দুপুর ১টা নাগাদ অভিষেক হেলিকপ্টারে নামেন দিঘায়। সেখান থেকে তাজপুরে যান। কথা বলতে শুরু করেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। অভিষেককে দেখে ভিড় করে এগিয়ে আসনে সৈকত এলাকার বাসিন্দারা। ঝড়ের দাপটে তাঁদের বেশিরভাগেরই ঘরবাড়ি ভেঙে গিয়েছে। অভিষেক তাঁদের বলেন, ‘‘বাঁধ মেরামতি নিয়ে সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন। যাঁরা কাজ করেছিল, তাঁদের দুর্নীতি ধরা হবে। পাশাপাশি নতুন করে কাজ শুরু হবে।’’ এর পর স্থানীয়দের দুয়ারে ত্রাণ কর্মসূচির কথাও মনে করিয়ে দেন অভিষেক।
সৈকত বরাবর শঙ্করপুর-তাজপুর রাস্তা তৈরি হয়েছিল কয়েক দিন আগেই। ঝড়ের পর কার্যত সেই রাস্তা আবার আগের বালি-কাঁকরের কাঁচা পথে পরিণত হয়েছে। প্রাথমিক কথা সেরে সে পথে যেতে যেতেই দু’-এক জায়গায় দাঁড়ান অভিষেক। ডেকে নেন স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিককে। তাঁকে সরাসরি প্রশ্ন করেন তিনি।