বিক্ষোভে নারদ মামলায় প্রভাব – সিবিআইয়ের আর্জি মানল না হাইকোর্ট
নারদ মামলা (Narada Case) অন্যরাজ্যে স্থানান্তর নিয়ে বৃহস্পতিবারও হাইকোর্টে (Calcutta High Court) চলল শুনানি। এদিন নিজের বক্তব্য শেষ করলেন সিবিআইয়ের পক্ষের আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা। আদালতকে বোঝানোর চেষ্টা করেন কেন মামলাটি অন্যত্র সরানো দরকার।
এদিন তুষার মেহেতা বলেন, ‘ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে মামলা অন্যত্র সরানোর সুযোগ রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের একটা চিঠিতে উত্তর প্রদেশ থেকে মামলা দিল্লিতে সরানো হয়েছিল। তাহলে এক্ষেত্রে হবে না কেন?’
তুষার মেহেতার সওয়াল শুনে বিচারপতি সৌমেন সেন বলেন, ‘মামলা অন্যত্র সরাতে একটি কারণই কি পর্যাপ্ত?’ বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা ইমেলে মামলা দায়ের করেছেন। পরে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় মামলা করা হয়নি কেন? কেন মামলাটি কী ধরণের মামলা তা আবেদনে কোথাও উল্লেখ নেই।’ জবাবে তুষার মেহেতা বলেন, ‘এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যে সেসব ভেবে ওঠার সময় পাওয়া যায়নি।’
এদিনও ১৭ মে ফিরহাদদের গ্রেফতারির দিন তৃণমূলের বিক্ষোভে বিচারপ্রক্রিয়া বিঘ্নিত হয়েছিল বলে অনড় থাকেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করে আদালতের ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা হয়েছিল। যার ফলে বলা যেতেই পারে রায় বিকৃত হয়েছিল। তাই সঙ্গে সঙ্গে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই।’ এই মামলার শুনানি শুক্রবারও চলবে।