সিতাইয়ে বিক্ষোভের মুখে নিশীথ-সায়ন্তন
সিতাইয়ে মৃত ‘বিজেপি’ কর্মী অনিল বর্মনের বাড়িতে যাওয়ার পথে বুধবার স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপির এক প্রতিনিধি দল। অবশেষে দেখা না করেই ফিরে যেতে হল বিজেপি নেতাদের। এদিন বিকেলে সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিজলিচটকা গ্রামে এ ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিজেপি নেতা এমপি নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik), বিজেপির জেলা সভানেত্রী বিধায়ক মালতী রাভা রায় ও সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu)। অভিযোগ, স্থানীয়দের সামনে দেখে কালো পতাকা, ঝাড়ু হাতে বিক্ষোভ দেখান একদল বাসিন্দা। পরে বিশাল পুলিস বাহিনী পৌঁছে বিজেপি নেতৃত্বকে সরিয়ে নিয়ে যায়। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা তাদের ঢুকতে দেয়নি। যদিও তা অস্বীকার করে তৃণমূল।
বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরনোর পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে আছে কোচবিহার জেলার বিভিন্ন গ্রাম। বহু বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট হয়েছে। অনেকেই বাড়িছাড়া আছেন। আক্রান্ত কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে বুধবার বিজেপির প্রতিনিধি দল জেলার বিভিন্ন এলাকায় যান। সিতাইয়ের বিজলিচটকা গ্রামের বাসিন্দা প্রয়াত ‘বিজেপি’ কর্মী অনিল বর্মনের বাড়ি যাচ্ছিলেন নিশীথ প্রামানিক, সায়ন্তন বসুরা। গ্রামে ঢুকতেই ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন একাংশ বাসিন্দা।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার সকালে ওই এলাকার বিজেপি কর্মী অনিল বর্মনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বিজেপি অভিযোগ তোলে ওই কর্মীকে চাপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেন এলাকার তৃণমূল নেতারা। এরপরেই ওই ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। এদিন সায়ন্তন বসু বলেন, কোচবিহারে মাত্র দু’টি আসন পেয়ে ওরা লাফালাফি করছে। আমাদের দলের মৃত কর্মীর বাড়িতে ওরা যেতে দিল না। এমপি বলেন, তৃণমূল যতই বাধা দিক আমরা পরিবারটির পাশে আছি।