‘সাবালকরা কাজ করেনি, তাই নাবালককে আসতে হয়েছে’, অভিষেকের নিশানায় শুভেন্দু
বিরোধী দলনেতার ডেরা থেকে এবার গর্জন করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। আর এই গর্জনের মধ্যে দিয়ে দিলেন চরম বার্তা। যা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary) ঘুম কেড়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট। বুধবার রাজভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ‘রাজনীতিতে নাবালক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) মন্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া দেব না’। ঠিক একদিন পর ক্ষতিগ্রস্ত সমুদ্রতটে দাঁড়িয়ে সেই ‘নাবালক’ অভিষেক রাজনীতি ও বয়সে ‘সাবালক’ শুভেন্দুর চাপ বাড়িয়ে দিলেন।
এদিন যশ বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। একুশের বঙ্গ নির্বাচনের অন্যতম ‘ম্যাজিক ম্যান’ আজ পূর্ব মেদিনীপুরে (East Medinipur) দাঁড়িয়ে বলেন, ‘সাবালকরা কাজ করেনি। মানুষের গ্রাস কেড়ে নিয়েছে। তাই নাবালককে এখন আসতে হয়েছে। সেচমন্ত্রী কে ছিলেন, তা সবাই জানেন। মুখ্যমন্ত্রী তো বলেছেন, সব তদন্ত হবে। আর আমি নিশ্চিত তদন্ত হলে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরোবেই।’ অর্থাৎ রাজীব থেকে শুভেন্দু কেউ যে বাদ যাবেন তা আগাম বুঝিয়ে দিলেন তিনি। আর তারপর থেকে সাবালক শুভেন্দুর ঘুম উড়ে যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
এদিন তাজপুরে নদীবাঁধ পরিদর্শন করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রামনগরের বিধায়ক এবং মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি। ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি এবং আশ্বস্ত করে বলেন, ‘৯/১০ তারিখের মধ্যেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে ক্ষতিপূরণের টাকা।’ তারপরই যা বললেন তাতে বোঝা গেল, সেচমন্ত্রী হিসেবে শুভেন্দু আর দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের সভাপতি হিসেবে শিশির অধিকারীর ভূমিকা এবার আতস কাঁচের তলায়।
ইতিমধ্যেই নবান্ন (Nabanna) থেকে বারবার বাঁধ ভেঙে যাওয়ার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কেন মাত্র চার মাসের মধ্যেই নদীবাঁধ ভেঙে পড়ল? তা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন সাংসদ। প্রশ্ন তোলেন নদীবাঁধের টাকার ব্যবহার নিয়ে। নাম না করেই দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা শিশির অধিকারীকে এই বাঁধ ভেঙে যাওয়ার জন্য দায়ী করেন তিনি। দুর্গতদের আশ্বস্ত করে জানান, দোষীরা অবশ্যই শাস্তি পাবেন। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।