জুনের পরেও রাজ্যের ১০ কোটিরও বেশি গ্রাহক পাবেন বিনা পয়সায় রেশন
জুন মাসের পরেও রাজ্যের ১০ কোটিরও বেশি রেশন (Ration) গ্রাহক বিনা পয়সায় চাল-গম পাবেন। খাদ্যদপ্তর এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি খুব শীঘ্রই জারি করবে। গতবছর লকডাউন ঘোষণার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) প্রথম রেশনে বিনা পয়সায় চাল-গম দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।
প্রথমে তিনমাসের জন্য গত বছরের জুন পর্যন্ত এই প্রকল্পটি চালানো হবে বলা হয়। কিন্তু তা এই জুন পর্যন্ত বাড়িয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। খাদ্যদপ্তরও জুন পর্যন্ত রেশনে বিনা পয়সা খাদ্য দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। জুনের পরেও যে রেশনে বিনাপয়সায় খাদ্য সরবরাহ অব্যাহত থাকবে তা মুখ্যমন্ত্রী একাধিকবার বলেছেন। খাদ্যদপ্তর এবার আনুষ্ঠানিকভাবে তার ঘোষণা করবে। এর জন্য নবান্ন থেকে অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। অনুমোদন এলেই সেই অনুযায়ী বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি জারি করবে খাদ্যদপ্তর। ভোটের আগে বিধানসভায় ২০২১-২২ সালের যে বাজেট মুখ্যমন্ত্রী পেশ করেন তাতে জুনের পর বিনা পয়সার খাদ্য সরবরাহ চালু রাখার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ (১৫০০ কোটি টাকা) বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রয়োজনে অর্থ বরাদ্দ বাড়বে। পশ্চিমবঙ্গের মতো রেশন ব্যবস্থা কোনও রাজ্যে নেই। অন্যত্র জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের রেশনই শুধু দেওয়া হয়। খাদ্য সুরক্ষা আইন চালু হওয়ার পর কোন রাজ্যে কত মানুষ এর আওতায় থাকবে তার কোটা ঠিক করে দেয় কেন্দ্র। প্রায় ৮০ কোটি মানুষ এর আওতায় আছে। গ্রাহক সংখ্যা আর বাড়ায়নি কেন্দ্র। যদিও জনসংখ্যা বেড়ে ১৩০ কোটি ছাড়িয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে জাতীয় প্রকল্পের আওতায় আছে প্রায় ৬ কোটি ২ লক্ষ রেশন গ্রাহক। মমতা সিদ্ধান্ত নেয়, খাদ্য পেতে ইচ্ছুক সবাইকে রেশন কার্ড দেওয়া হবে। তাই জাতীয় প্রকল্প বহির্ভূত রাজ্যবাসীদের জন্য আলাদা রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্প চালু করা হয়। দুই শ্রেণির রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পে ৪ কোটিরও বেশি মানুষ সুবিধা পাচ্ছেন।
কেন্দ্র গতবছর জাতীয় প্রকল্পভুক্ত গ্রাহকদের মাথাপিছু অতিরিক্ত বরাদ্দ হিসেবে ৫ কেজি করে খাদ্যশস্য দেবে বলে। প্রথমে তা তিনমাসের জন্য দেওয়া হয়। পরে আরও পাঁমমাসের জন্য বাড়ানো হয়। নভেম্বরের পর তা বন্ধ হয়ে যায়। ফের শুধু মে ও জুনের জন্য এই সুবিধা দিয়েছে।
কিন্তু এই মাসগুলিতে অন্য রাজ্যে রেশন গ্রাহকদের সাধারণ বরাদ্দ নির্ধারিত দামেই কিনতে হয়েছে। কিন্তু এরাজ্যে জাতীয় প্রকল্পের গ্রাহকরা তা বিনা পয়সায় পেয়েছেন, রাজ্য বিশেষ ভর্তুকি দেওয়ায়। জুনের পরও এই বিশেষ সুবিধা যথারীতি মিলবে।