নোনাজল এলাকায় বিশেষ পদ্ধতিতে হবে ধান চাষ, পরিকল্পনা রাজ্যের
নোনাজল এলাকায় বিশেষ পদ্ধতির সাহায্যে ধান চাষের (Rice cultivation) পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এবার থেকে সেই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে। বৃহস্পতিবার যশ-এর (Yaas) দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত খেজুরি ও কাঁথি এলাকা পরিদর্শনে এসে একথা বলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chattopadhyay)।
এদিন তিনি প্রথমে খেজুরির বীরবন্দর, হলুদবাড়ি, নিজকসবা, হেঁড়িয়া, টিকাশি প্রভৃতি প্লাবিত এলাকা ঘুরে দেখেন। পরে কাঁথির শৌলা, বগুড়ানজালপাই প্রভৃতি এলাকায় যান। মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, এখনও বহু জমি জলের তলায়। উপকূল এলাকায় জমিতে নোনাজল ঢুকে গিয়ে সবজি থেকে শুরু করে ডাল-তিল, পানবরজ, সব চাষই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি একটি রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জমা দেব। কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রধান মরশুম হচ্ছে খরিফ। যদি এর মধ্যে কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়ে নোনাজল ঢুকে যাওয়া জমি ধুয়ে যায়, তাহলে খুবই ভালো হয়। তাছাড়া মুখ্যমন্ত্রী অনেকদিন থেকেই বলে আসছেন, জমিতে নোনাজল নোনাজল করে আমরা বসে থাকব, সেখানে চাষ হবে না, এটা হতে পারে না। নোনাজলে জমি নষ্ট হয়ে যাবে কেন? মুখ্যমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় নোনা জমিতে চাষের জন্য বিজ্ঞানীরা ছ’ ধরনের ধানের বীজ তৈরি করেছেন। প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানা গিয়েছে, নোনাজল এলাকায় বিশেষ পদ্ধতিতে ধান চাষ হতে পারে। কিন্তু সমস্যা হল, সেই পরিমাণ বীজধান আমাদের কাছে নেই। তবুও আমরা চেষ্টা জারি রেখেছি।