রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

৯ই কলকাতায় মমতার সঙ্গে সাক্ষাতে টিকায়েত সহ ৩ কৃষক নেতা

June 5, 2021 | 2 min read

সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বিজেপি বিরোধী মঞ্চের মধ্যমণি হিসেবে তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই (Mamata Banerjee) চাইছেন সর্বভারতীয় কৃষক নেতারা। সেই অবস্থান ব্যাখ্যা করতেই আগামী ৯ জুন কলকাতায় এসে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন কৃষক আন্দোলনের শীর্ষনেতারা। ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের প্রধান রাকেশ টিকায়েতের (Rakesh Tikayet) নেতৃত্বে তিনজনের ওই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মমতার বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে। কৃষি আইন প্রত্যাহার এবং ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (এমএসপি) আইনি স্বীকৃতির দাবিতে গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে দিল্লির সিংঘু সীমান্তে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, তারই নেতৃত্ব আসছেন কলকাতায়। সেই নিরিখে মমতার সঙ্গে এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগামী বছর দেশের যে ছয় রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হবে, তার মধ্যে উত্তরপ্রদেশ ও পাঞ্জাব অন্যতম। কৃষি আন্দোলনের ঢেউয়ে ইতিমধ্যেই বিপর্যস্ত বিজেপি শিবির। আর দোসর ভ্যাকসিন, অক্সিজেনের অভাব এবং করোনা রোগীর মৃতদেহ নদীতে ভাসানো। সব মিলিয়ে গেরুয়া ফানুস চুপসে আসার এই পর্বে মমতাকে সামনে রেখে গোটা দেশে বিজেপি বিরোধী যে ‘লহর’ উঠেছে, তার সূচনা কলকাতা থেকে হওয়াটা আরও তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক শিবির। ইতিমধ্যে দেশজুড়ে আওয়াজ উঠেছে ‘ইন্ডিয়া ওয়ান্টস মমতাদি’। ট্যুইটারে এটাই নতুন ট্রেন্ড। এই সাক্ষাতের আয়োজন থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার, চব্বিশের লোকসভা ভোট মাথায় রেখে বৃহত্তর একটা বিরোধী জোট গঠন শুধু সময় এবং সঠিক পরিস্থিতির অপেক্ষা।


রাজনৈতিক এই আবর্তের মধ্যে আজ, শনিবার দলের জরুরি সাংগঠনিক বৈঠক ডেকেছেন মমতা। বেশ কিছু স্তরে খোলনলচে বদলে দিতে অভিজ্ঞ, পরিশ্রমী এবং একই সঙ্গে দলের অনুগত—এই নিরিখে সংগঠন সাজাতে চাইছেন তিনি। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে টিম মমতার সেনাপতি হিসেবে জনমানসে নিজের স্বতন্ত্র জায়গা করে নিয়েছেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিশীলিত ভাষা, সাবলীল বাচনভঙ্গি আর মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার গুণ—এই তিনের সমাহারে নিজেকে পরিণত করেছেন অভিষেক। গেরুয়া শিবিরের শত কুৎসার মাঝেও শিরদাঁড়া সোজা রেখে বাংলাজুড়ে মমতার বার্তা ছড়িয়ে দিয়ে বাংলার নেতা হয়ে উঠেছেন তিনি। তৃণমূল সূত্রের খবর, সাংগঠনিক রদবদলের এই পর্বে মূল সংগঠনে বড়সড় জায়গায় ‘অভিষেক’ হতে পারে অভিষেকের। পাশাপাশি ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ এই নীতি প্রণয়নের সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে জোড়াফুল শিবিরে। তার জেরে রাজ্য মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য, যাঁরা দলের জেলা সভাপতির দায়িত্বও সামলাচ্ছেন, লাঘব করা হবে তাঁদের সাংগঠনিক ভার। এছাড়াও ‘দমবন্ধ’ হয়ে আসার আতঙ্কে ঠিক বিধানসভা ভোটের মুখে বিজেপি শিবিরে যাওয়া যে বা যাঁরা এখন তৃণমূলের এসে ‘অক্সিজেন’ নিতে চাইছেন, তাঁদের ভবিষ্যৎও নির্ধারিত হবে আজ, জরুরি ভার্চুয়াল বৈঠকে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Mamata Banerjee, #Rakesh Tikait

আরো দেখুন