সুন্দরবনের দুর্গম এলাকায় পরিষেবায় মেডিক্যাল সরঞ্জাম সহ বোট রাখবে রাজ্য
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত গোসাবা ব্লককে রোগমুক্ত রাখতে দুয়ারে চিকিৎসার ধাঁচে পরিষেবা জেলা প্রশাসনের। তাছাড়া বৃহস্পতিবার থেকে একাধিক সুযোগ সুবিধাপ্রদানও শুরু করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। দুর্গম এলাকা, যেখান থেকে এই পরিস্থিতিতে অসুস্থ কাউকে আনা কঠিন, সেখানে বোটেই চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সুন্দরবনের (Sundarbans) বাকি ব্লকগুলি অনেকটাই ছন্দে ফিরেছে। গোসাবার মানুষও যাতে দ্রুত ছন্দে ফিরতে পারেন, তার জন্য বহুমুখী পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা। জানা গিয়েছে, এই ব্লকের ৯টি দ্বীপে ৪০ জন চিকিৎসকের দলকে নিযুক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে ২৫ জন ডাক্তার ও নার্স এবং বাকি ১৮ জন চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত মেডিক্যাল স্টাফ আছেন। কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে এই দ্বীপে এসে মেডিক্যাল ক্যাম্প (Medical Camp) করছেন চিকিৎসকরা। যেসব মানুষ ক্যাম্পে আসতে পারছেন না, তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। বিভিন্ন পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করার কাজও হবে। বর্তমানে সেখানে পানীয় জলের কী হাল, তা যাচাই করতে নমুনা সংগ্রহ করবে এই মেডিক্যাল টিম। রোগ যাতে না ছড়ায়, তার জন্য কী করতে হবে, বাড়ি বাড়ি ও পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে সেসব বোঝানো শুরু হবে। এছাড়া দু’টি বোটকে ইমারজেন্সির জন্য তৈরি রাখা হবে। একটি থাকবে গোসাবায়, অপরটি কুমিরমারিতে। তাতে ন্যূনতম পরিষেবা দেওয়ার মতো পরিকাঠামো তৈরি করা থাকবে। প্রসূতি মায়েদের জন্য থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা।
এদিকে ত্রাণ সামগ্রী দিতে যাঁরা আসছেন, তাঁদের গদখালি ঘাটে করোনা (Covid19) পরীক্ষা হবে। কারণ বাইরে থেকে যাতে করোনা এই বিপর্যস্ত গ্রামগুলিতে ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এদিকে, সুন্দরবনের যে সব ব্লকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটেছে, ইতিমধ্যে মেডিক্যাল ক্যাম্প চলছে বহুদিন ধরেই। এখনও পর্যন্ত দেখা গিয়েছে, জলবাহিত রোগে ভুগছেন, এমন বাসিন্দার সংখ্যা ১৯১। তার মধ্যে সর্বাধিক আক্রান্ত (৫৫) পাথরপ্রতিমায়। কাকদ্বীপ, নামখানা, বাসন্তী ব্লকেও কমবেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।