কোটালে ক্ষতিগ্রস্ত নদী বাঁধের অধিকাংশের মেরামতি সম্পন্ন
ভরা কোটালের জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সুন্দরবন সহ উপকূলবর্তী এলাকার ১৮০ কিমি নদী বাঁধ (Embankment)। সামনে আরও দু’টি কোটাল আছে। সে কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ১৫২ কিমি নদী বাঁধ মেরামতের কাজ শেষ হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। দু’-একদিনের মধ্যে আরও খানিকটা কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন প্রশাসনের কর্তারা।
সম্প্রতি প্রাকৃতিক দুর্যোগে সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গোসাবা। সেখানে পাখিরালা, কুমিরমারি, রাঙাবেলিয়ায় বাঁধের একাংশের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে বলে খবর। দুলকি, সোনাগাঁ অঞ্চলে আগামী দু’-তিনদিনের মধ্যেই সারাইয়ের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশাবাদী ব্লক প্রশাসন। কুলতলি ও পাথরপ্রতিমার অনেক জায়গায় বাঁধ মেরামতির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। আবার কোথাও তা শেষের মুখে। সাগরের ধবলাহাট, মুড়িগঙ্গা ইত্যাদি এলাকায় বাঁধ মেরামতির কাজ চলছে। পরবর্তী কোটালের আগেই সেই কাজ সেরে ফেলা হবে বলে প্রশাসনিক কর্তারা জানিয়েছেন। সুন্দরবন ছাড়াও বজবজ, মহেশতলার দিকে নদী তীরবর্তী এলাকায় বাঁধের কাজ অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। ২৬ জুন যে কোটাল আসবে, তার মাত্রা বেশি হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সেক্ষেত্রে জলোচ্ছ্বাস দেখা দিতে পারে। একাধিক বাঁধ টপকে গ্রামে জল ঢোকার সম্ভাবনাও দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে যশ ও ভরা কোটালে যেসব জায়গায় ‘এমব্যাঙ্কমেন্ট ব্রিচ’ বা বাঁধে নানা ফাটল দেখা দিয়েছে বা ক্ষতি হয়েছে, সেই সব জায়গা ভালো করে মেরামতি করা না হলে, আগামী কোটালে ফের জল ঢুকে গ্রাম প্লাবিত করতে পারে। তাই এই কাজ নিয়ে যথেষ্ট সতর্ক প্রশাসন।