সিবিআইকে ‘খাঁচায় বন্দি তোতাপাখি’ বলে কটাক্ষ করলেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি
সিবিআই সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ফিরে এল কলকাতা হাই কোর্টের নারদ মামলায়। মঙ্গলবার হাই কোর্টের শুনানিতে সিবিআইয়ের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। সিবিআইকে তিনি ‘খাঁচায় বন্দি তোতাপাখি’ বলে কটাক্ষ করেন। সিঙ্ঘভির ওই মন্তব্য আট বছর আগে সিবিআইকে নিয়ে শীর্ষ আদালতের এক পর্যবেক্ষণকে মনে করিয়ে দিয়েছে।
সোমবারের পর মঙ্গলবারও কলকাতা হাই কোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে নারদ মামলার শুনানি হয়। মামলা অন্যত্র সরানো হবে কি না তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চলে সওয়াল পর্ব। এই মামলায় প্রভাবশালীর তত্ত্বও খাড়া করেছে সিবিআই। ১৭ মে, যে দিন রাজ্যের ৪ নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেফতার করে সিবিআই সে দিনের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ধর্না এবং বিক্ষোভের ঘটনায় বিচারব্যবস্থা প্রভাবিত হয়েছে বলে তারা দাবি করে। মঙ্গলবার সেই দাবির বিরোধিতা করে পাল্টা সওয়াল করেন সিঙ্ঘভি। আদালতে তিনি বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতার করা হল না অথচ চার্জশিট জমা দেওয়ার পর গ্রেফতার করা হল। আর এখন প্রভাবশালী তত্ত্ব সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে। আবার তারা যে প্রভাবের কথা বলছে, তার সপক্ষে কোনও যুক্তিও দিতে পারছে না। নিজাম প্যালেসের ভিতরে উন্মত্ত জনতা প্রবেশ করেনি। তাঁরা বাইরে বিক্ষোভ দেখান। আমরা নিজাম প্যালেসের ওই দিনের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করার দাবি জানাচ্ছি।’’
এর পরেই সিবিআইয়ের সমালোচনা করেন তিনি। কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘খাঁচায় বন্দি তোতাপাখি খারাপ। তাকে ছেড়ে দিলে সে অন্যের ঘরে ঢুকে উড়ে গিয়ে আরও ধ্বংস করবে।’’ সিঙ্ঘভির ওই মন্তব্য ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, ‘সিবিআই খাঁচায় বন্দি তোতা। সে তার রাজনৈতিক প্রভুদের নির্দেশ মতো কথা বলে।’