বৃহস্পতি ও শুক্র অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা, সাথে কোটাল
উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে চলা নিম্নচাপের প্রভাবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে আগামী বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা দিয়েছে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর। রাজ্য সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর বৃহস্পতিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টির আশঙ্কার কথা জানিয়ে জেলা প্রশাসন ও কলকাতা পুরসভাকে সতর্ক করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার নবান্নে এনিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেছেন। একইসঙ্গে দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যবস্থা গ্রহণের উপর জোর দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় যশ আছড়ে পড়ার দিন ও তার পরের দিন ভরা কোটালের জেরে সমুদ্র এবং উপকূলবর্তী এলাকার নদীগুলিতে জলোচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছিল। ফলে পূর্ব মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকায় সমুদ্র ও নদীবাঁধ ভেঙে জল ঢুকে পড়ে গ্রামে। এদিকে, আগামী ১১ জুন, শুক্রবার ভরা কোটাল হওয়ার কথা। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সতর্কবাতায় ভারী বৃষ্টির সঙ্গে ভরা কোটালের কথাও বলা হয়েছে। সমুদ্র ও নদী বাঁধগুলি দ্রুত মেরামতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাঁধে কোনও ফাটল থাকলে, সেই কাজ বুধবারের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের কোন কোন জেলায় বেশি বৃষ্টি হবে, সেই সতর্কবার্তা এখনও জারি করেনি আবহাওয়া দপ্তর। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা ডঃ জি সি দাস বলেছেন, উপকূলবর্তী এলাকায় বেশি বৃষ্টি হবে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর অবশ্য এদিন যে পূর্বাভাস জারি করেছে, তাতে পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় ওড়িশায় বেশি বৃষ্টিপাতের ইঙ্গিত দিয়েছে। ওড়িশায় আজ, মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এই নিম্নচাপের প্রভাবে ভারী বৃষ্টি হবে ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, পূর্ব মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ এলাকায়। এই নিম্নচাপের হাত ধরেই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা পূর্ব ভারতে বর্ষা ঢুকে পড়বে বলে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে। তবে প্রাক-বর্ষার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। হাওয়া অফিসের অধিকর্তা জানিয়েছেন, সোমবার যে সব এলাকায় বজ্রমেঘ তৈরি হয়েছে, সেখানে ভালো বৃষ্টি হয়েছে। তবে জোরালো হাওয়া তুলনামূলকভাবে কম থাকছে।