সুনীলের জোড়া গোল, বিরাট জয় ভারতের
সোমবার বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে বাংলাদেশের (Bangladesh) বিরুদ্ধে ভারতকে (India) জেতালেন অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। ম্যাচ যখন ড্রয়ের দিকে ঢলে পড়েছে তখনই বাঁদিক থেকে পরিবর্ত আশিক কুরিয়েনের ক্রস ভেসে আসে। নিখুঁত হেডে জাল কাঁপাতে ভুল হয়নি সুনীলের (১-০)। ৭ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করে গ্রুপ ই’তে তৃতীয় স্থানে উঠে এল ভারত। ২০২৩ এশিয়ান কাপে খেলার আশা জিইয়ে রাখল ইগর স্টিমাচ-ব্রিগেড। দ্বিতীয়ার্ধের সংযোজিত সময়ে নিজের তথা দলের দ্বিতীয় গোলও করেন সুনীল। বক্সের মধ্যে থেকে নেওয়া তাঁর ডান পায়ের শট আছড়ে পড়ে বাংলাদেশের জালে (২-০)। দেশের সর্বাধিক গোলদাতার নামের পাশে এখন ৭৪টি গোল।
রবিবার দোহার স্টেডিয়ামে মনবীররা গোল নষ্টের প্রদর্শনী দেখালেন। সুনীল ছাড়া এই দলের আপফ্রন্ট নিয়ে যত কম কথা বলা যায় ততই ভালো। যোগ্য স্ট্রাইকারের জন্য এবার বোধহয় বিজ্ঞাপনও দিতে হতে পারে ফেডারেশনকে। র্যাঙ্কিংয়ে ১৮৪ নম্বরে থাকা বাংলাদেশকে হারাতে কালঘাম ছুটল ভারতের (১০৫)!
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক দল সাজায় ভারত। ৩-৪-৩ ফর্মেশনে শুরু করে স্টিমাচের দল। প্রথম ১৮ মিনিটের মধ্যেই তিনটি গোলের সুযোগ পেয়েছিল ভারত। ১১ মিনিটে বিপিনের ক্রসে পা ছোঁয়াতে পারেননি বক্সে থাকা সুনীল ও সন্দেশ। ১৬ মিনিটে ব্র্যান্ডনের থ্রু ধরে গতি বাড়িয়ে মনবীর বক্সে ঢুকে পড়ে দুরূহ কোণে চলে যান। ফলে মুভটাই নষ্ট হয়ে যায়। দু’মিনিট পরেই উদান্তা বক্সে ঢুকে তাড়াহুড়ো করে সুযোগ নষ্ট করেন। বাংলাদেশ কোচ জেমস ডে’র কৌশল ছিল, শুরু থেকেই কড়া ট্যাকলে ভারতীয় ফুটবলারদের থামিয়ে দেওয়া। ব্র্যান্ডন, শুভাশিসদের বারবার বিপজ্জনক ফাউল করা হয়। কিন্তু তাঁদের দমানো যায়নি। ম্যাচ যত এগিয়েছে ততই নিজেদের রক্ষণে ভিড় বাড়িয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবলাররা। ৩৫ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করে ভারত। কর্নার থেকে চিংলেনসানার হেড গোললাইন সেভ করেন রিহাদুল। পরের মিনিটেই সেই কর্নার থেকে সুনীলের হেড পোস্টের উপর দিয়ে বাইরে যায়। ৬৩ মিনিটে সহজ সুযোগ হারান ভারত অধিনায়ক। ডানদিক থেকে ব্র্যান্ডনের ফ্রি-কিক থেকে নেওয়া তাঁর হেড তিনকাঠির মধ্যে ছিল না। এরপর জার্সি দিয়ে মুখ ঢাকতে দেখা যায় সুনীলকে। মিনিট দশেক পরে ব্র্যান্ডনের কর্নার থেকে গোল করা উচিত ছিল শুভাশিস বসুর।
ভারত: গুরপ্রীত, চিংলেনসানা, সন্দেশ, শুভাশিস, গ্লেন মার্টিন্স, ব্র্যান্ডন (আদিল), উদান্তা (ইয়াসির), বিপিন (আশিক), সুরেশ, সুনীল ও মনবীর (লিস্টন)।