বজ্রাঘাতে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে মুর্শিদাবাদ যাচ্ছেন অভিষেক
বজ্রপাতে (Lightning) নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে বুধবার মুর্শিদাবাদ যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বুধবার দুপুরে কলকাতা থেকে হেলিকপ্টারে করে রওনা হবেন তিনি। মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর মহকুমাতেই বজ্রপাতে মারা গিয়েছেন ৭ জন। বহরমপুরে মৃত্যু হয়েছে আরও ২ জনের। আহত হয়েছেন ৭ জন। তাই আপাতত ঠিক হয়েছে, প্রথমে বহরমপুর যাবেন অভিষেক। সেখানেই নিহত ২ জনের পরিবার-সহ আহতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এর পরেই জঙ্গিপুর মহকুমার রঘুনাথগঞ্জ ব্লকের একটি শিবিরে যাওয়ার কথা তাঁর। সেখানে কয়েক জন আহত ব্যক্তি রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গেও দেখা করবেন অভিষেক।
বুধবার বিকেলে মুর্শিদাবাদ সফর শেষে অভিষেক ফিরে আসবেন কলকাতায়। পর দিন ১০ জুন বৃহস্পতিবার হুগলি জেলার হরিপাল ও খানাকুল ব্লকে যাবেন তিনি। সেখানে নিহতদের পরিবার-পরিজনের পাশাপাশি, আহতদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন। এর পর হুগলি জেলার পোলবার দাদপুরে যাওয়ার কথা তাঁর। সেখানেও বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বুধবার অভিষেকের সফরের পাশাপাশি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বজ্রাঘাতে নিহতদের বাড়িতে আর্থিক সাহায্য নিয়ে যাচ্ছেন বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া।
ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী বিধায়করাও আর্থিক সাহায্য দিয়েছেন বজ্রপাতে নিহতদের পরিবারবর্গকে। পোলবা থানার বাগানপাড়ার কৃষক হারুন আল রশিদের বাড়িতে গিয়ে আদি সপ্তগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত। হারুনের পরিবারের হাতে ২ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন তিনি। হুগলির হরিপালের অযোধ্যা গ্রামে বজ্রাঘাতে মৃত দিলীপ ঘোষের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানিয়ে এসেছেন শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না এবং বিধায়ক করবী মান্না। দিলীপের পরিবারের হাতে রাজ্য সরকারের ত্রাণ ও অনুদান তুলে দেন বেচারাম এবং করবী।
মঙ্গলবার দুপুরে রঘুনাথগঞ্জ ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৬টি পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়। বহরমপুরেও দুই পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহা ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা। রঘুনাথগঞ্জ থানার অন্তর্গত মির্জাপুরে মৃতদের (Deaths) পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের দুই সাংসদ খলিলুর রহমান এবং আবু তাহের খান। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। সোমবার রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বাজ পড়ে মৃতদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা এবং আহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছিলেন।