দেবাংশুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ সায়নী
রাজ্য সভাপতি (TMC Youth State President) হিসেবে দায়িত্ব ভার বুঝে নেওয়ার পর থেকেই পুরোদমে মাঠে নেমে পড়েছেন যুব তৃণমূলের নব নিযুক্ত সভাপতি সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। অভিনেত্রী সায়নীকে বিধানসভা ভোটে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটে হেরে গেলেও লড়াইয়ের ময়দানে সায়নীর মাটি কামড়ে পড়ে থাকা আলাদা নজর কেড়েছিল। সেই কারণেই তরতাজা মুখ সায়নীকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরনো পদে বসিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর তৃণমূল ‘যুব’র দায়িত্ব পেতেই একদিকে যেমন সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সায়নী, তেমনি তৃণমূল ‘যুব’র অন্যতম সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু ভট্টাচার্যকে (Debangshu Bhattacharya) রকস্টার প্রচারক বলেও প্রশংসায় ভরালেন তিনি।
সোমবারের পর মঙ্গলবারও তৃণমূল ভবনে গিয়েছিলেন সায়নী। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, বঙ্গ জননীর সভানেত্রী ও তৃণমূল সাংসদ মালা রায়, তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ,কেশপুরের বিধায়ক এবং তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা এস সি সেলের কার্যকরী সভানেত্রী শিউলি সাহার সঙ্গে দেখা করেন সায়নী। সেখানেই সায়নীর হাতে পুষ্পস্তবক তুলে দেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু ভট্টাচার্য , সৌম্য বক্সি, শক্তি প্রতাপ সিংহ ও বসুন্ধরা গোস্বামী।
এরপরই দেবাংশুর বিষয়ে ট্যুইট করেন সায়নী। তৃণমূলের প্রচারক হিসেবে দেবাংশুর আলাদা জায়গা তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। সংবাদমাধ্যম থেকে সোশ্যাল মিডিয়া, দেবাংশুর যুক্তির মারপ্যাঁচে বারবার বিরোধীদের বিপাকে ফেলেছেন দেবাংশু। কিন্তু বিধানসভা ভোটে টিকিট পাননি তিনি। যা নিয়ে তাঁর রাজনীতি ছেড়ে দেওয়া নিয়েও শোরগোল পড়েছিল ভোটের আগে। কিন্তু তৃণমূল নিবেদিত প্রাণ দেবাংশু এখনও গুছিয়েই রাজনীতিটা করছেন। শুধু তাই নয়, ‘যুব’র সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। আর সংগঠন চালাতে দেবাংশুর মতো মুখের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেই এবার আলাদা করে তাঁর প্রশংসা সংগঠনের সভানেত্রীর তরফে।
যুব সভানেত্রী হয়েই সায়নী জানিয়েছেন, নিয়মিত তৃণমূল ভবনে আসবেন তিনি। অফিসে বসবেন৷ সাংগঠনিক যে দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হয়েছে, তা তিনি পালন করবেন। এই বিষয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়-সহ দলের যারা সিনিয়র নেতা আছেন তাঁদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করতে চান নয়া যুব সভাপতি। একইসঙ্গে তাঁর সেনাপতি যে হবেন দেবাংশুরাই, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন সায়নী।