করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য আগাম প্রস্তুতি বাংলার
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এখনও পুরোপুরি ধ্বংসলীলা শেষ করেনি। এই বিভীষিকার মাঝেই পরবর্তী ধাক্কা এড়াতে ছক কষছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (west bengal government)। করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ (coronavirus third wave) কবে, কীভাবে আসবে তা জানা নেই কারোর। তবে সেটা যে আসবে, তা একপ্রকার নিশ্চিতভাবে জানিয়ে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে করোনার তৃতীয় ঢেউ রুখতে আগেভাগেই প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন বাংলায় সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ হয়েছিল ১৪ মে। সেদিন রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ২০ হাজার ৮৪৬ জন। তবে সেখান থেকে পরিস্থিতি অনেকটাই সামাল দেওয়া গিয়েছে। ৯ জুলাই রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৫,৩৮৪। করোনায় দৈনিক মৃতের সংখ্যাও ১০০-র নিচে নেমেছে।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক বললেন, ‘আমরা মনে করছি, জুনের শেষে করোনার দৈনিক সংক্রমণ অনেক কমে যাবে। আমরা ‘বেসলাইন’ ছুঁতে সক্ষম হব। তবে যুক্তরাজ্য, কানাডার মতো দেশগুলিকে দেখে আমরা আন্দাজ লাগাতে পারি যে অক্টোবর-নভেম্বর নাগাদ করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। সেই অনুযায়ী আমরা আমাদের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি ইতিমধ্যেই।’
এদিকে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে তৃতীয় ঢেউতে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হতে পারে। এর জন্য পেডিয়াট্রিকের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে শয্যার সংখ্যা বাড়ান হচ্ছে রাজ্যে। এছাড়া নবজাতকদের জন্যেও শয্যার সংখ্যা বাড়াচ্ছে রাজ্য। আপাতাত পেডিয়াট্রিক আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ২৫০-৩০০ রাখা হবে। পরবর্তীতে তা ধাপে ধাপে বাড়িয়ে প্রথমে ৫০০ পরে ১০০০ এবং প্রয়োজনে ১৫০০ করার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের।