করোনা পরিস্থিতিতে ডিমের দাম ঊর্ধ্বমুখী
করোনা (Covid 19) পরিস্থিতিতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রোটিন জাতীয় খাবার অত্যন্ত জরুরি। ডিম (Egg) সহ নানা খাবার খাদ্যতালিকায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। মাছ-মাংসের দাম বাড়ায় এতদিন ভরসা ছিল ডিম। চাহিদা বাড়ায় দামও অনেকটা বাড়ল। কয়েকদিন আগেও পাঁচ টাকায় ডিম পাওয়া গেলেও এখন সাত থেকে সাড়ে সাত টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের লাগাতার দাম বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন নিম্নবিত্ত ও সাধারণ মধ্যবিত্তরা।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, নদীয়া জেলায় অন্ধ্রপ্রদেশের ডিম আসার পাশাপাশি এরাজ্যের বাঁকুড়া, হুগলি থেকেও ডিম আসে। এছাড়াও স্থানীয় রানাঘাটের রামনগর, শান্তিপুরের রঘুনাথপুর, চাকদহ, হরিণঘাটার ডিমও বিক্রি হচ্ছে জেলাজুড়ে। কৃষ্ণনগর স্টেশন রোডের এক মুদি ব্যবসায়ী বলেন, প্রতিদিন ডিমের চাহিদা বাড়ছে। আগে দিনে এক পেটি খুচরো ডিম বিক্রি করতাম। আত্মশাসন পর্বে এখন সকালে কয়েক ঘণ্টায় ডিম শেষ হয়ে যাচ্ছে। পাইকারি ব্যবসায়ীদের বললেও বেশি দিচ্ছে না। প্রতিদিনই ডিমের দাম বাড়ছে।
কৃষ্ণনগর পুরসভার ১৫নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিপাশা মুখোপাধ্যায় বলেন, গত কয়েকদিনে খুচরো ডিমের দাম বেড়েছে। ফলে সংসারের খরচ চালাতে বহু মানুষের সমস্যা হচ্ছে। শুধু ডিম নয়, সর্ষের তেল, ডাল থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বাড়ছে। রানাঘাট পুরসভার ১৭নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পুষ্পা দাস বলেন, প্রতিদিন দাম বাড়ছে জেনেও বেশি ডিম কিনে রাখা সম্ভব নয়। গরমও প্রচণ্ড। বেশিদিন রাখলে ভালো থাকে না। বুধবারও জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ১৮০- ২০০টাকায় এক ট্রে(৩০টি) ডিম বিক্রি হয়েছে। শক্তিনগর পাঁচমাথার ডিম ব্যবসায়ী তড়িৎ চক্রবর্তী বলেন, ডিমের প্রতিদিনের দামেই গত দেড় মাসে ব্যাপক ফারাক হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন আগেও এক পেটি(সাত ট্রে) ডিমের দাম ছিল ৯১০টাকার কাছাকাছি। এখন সেটা ১২৬০-১২৮০ টাকা হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন আগে পাঁচ টাকায় ডিম বিক্রি হচ্ছিল। এখন সাড়ে ছ’টাকা থেকে ৭টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেশকিছু ব্যবসায়ী স্থানীয় ডিমের কালোবাজারি শুরু করেছেন। এরফলে বাইরের ডিমের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় আমদানি না হওয়া দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। এদিকে জেলায় পোলট্রি মুরগির মাংসের দাম একইরকম রয়েছে। রানাঘাট শহর এলাকায় কেজি প্রতি কাটা মাংস ১৫০-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কৃষ্ণনগর শহরে দাম ১৭০-১৯০টাকা কেজি। কৃষ্ণনগরের মাংস ব্যবসায়ী বিপ্লব কুণ্ডু বলেন, চাহিদা অনুযায়ী ব্যবসায়ীরা দামের হেরফের করছেন।