বিজেপির সমালোচনা করেন বলেই কি নুসরতের জীবন নিয়ে কুৎসা বিজেপির!
নিখিলের সঙ্গে নুসরতের ‘দাম্পত্য’ সম্পর্ক নিয়ে নানা মহলে চর্চা তুঙ্গে। তারই মাঝে কার্যত বোমা ফাটান নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। বিয়ে বৈধ নয় বলেই বিবৃতিতে দাবি করেন তিনি। আর তারপর থেকে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ। এবার তাতে লেগেছে রাজনীতির রং। নুসরতের সম্পর্ক নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য।
বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ হিসাবে জয়ী হওয়ার পর প্রথমবার দিল্লিতে গিয়ে আলোচনার শীর্ষে চলে এসেছিলেন নুসরত। কারণ, সেই সময় ‘বিয়ে’ হয়ে গিয়েছিল তাঁর। সংসদে নিখিলের নামাঙ্কিত চূড়া, সিঁদুর পরে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। শপথ নেওয়ার সময় নুসরত জাহান রুহি জৈন বলেই দাবি করেন বসিরহাটের তৃণমূল (Trinamool) সাংসদ। শপথ নেওয়ার সেই ভিডিও টুইট করেন অমিত মালব্য। তিনি লেখেন, ‘বিয়ে করেছেন নাকি লিভ ইন করতেন নুসরত, সেটা ব্যক্তিগত ব্যাপার। তা নিয়ে কেউ আলোচনা করতে রাজি নয়। তবে তিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। সংসদে তিনি নিজেকে নিখিল জৈনের বিবাহিতা স্ত্রী বলে দাবি করেন। তবে কি তিনি সংসদে দাঁড়িয়ে মিথ্যা বলেছেন?’
অমিত মালব্যর (Amit Malviya) এই টুইটের কোনও পালটা প্রতিক্রিয়া নুসরত না দিলেও তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বিজেপি নেতাকে টুইটে পালটা জবাব দেন।
বলেন, ‘প্রসঙ্গ নুসরত জাহান: বিষয়টি ব্যক্তিগত। এর সঙ্গে রাজনীতি বা দলের কোনো সম্পর্ক নেই। বিজেপির মালব্য এসব নিয়ে টুইট না করাই ভালো। তর্ক শুরু হলে বিজেপির পক্ষে ভালো হবে না। তৃণমূল মানুষের কাজ নিয়ে ব্যস্ত।’
এবার প্রশ্ন উঠছে একজনের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কেন এতো চিন্তা এই বিজেপি নেতাদের। নুসরত জাহানকে বরাবর মোদি এবং বিজেপি সরকারের কড়া ভাষায় সমালোচনা করতে দেখা গেছে। তাহলে এটাই কী কারণ নুসরতের বিজেপি নেতাদের বিষ নজরে আসার? তাই তাঁরা সাংসদের ব্যক্তিগত জীবনকেও রেয়াত করছেন না।
মহিলা সুরক্ষা থেকে ভুয়ো খবর প্রচার সব বিষয়েই নুসরতকে বিজেপির সমালোচনা করতে দেখা গেছে নির্ভিকভাবে। নুসরতের টুইটার হ্যান্ডেল খুললেই পাওয়া যাবে একের পর মোদি ও বিজেপি সরকারের সমালোচনায় টুইট। আর এই কারণেই নুসরতের ব্যক্তিগত জীবন এই কেন্দ্রীয় নেতাদের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছে।
কিন্তু এই নেতারাই নরেন্দ্র মোদির স্ত্রী যশোদাবেনের সাথে অন্যায়ের বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। নরেন্দ্র মোদি কেন এতদিন গুজরাট বিধানসভার মনোনয়নে নিজেকে অবিবাহিত দাবি করেছিলেন, সে বিষয়ে প্রশ্নের কোন উত্তর নেই বিজেপির কাছে। যদি নুসরত সংসদে দাঁড়িয়ে বিয়ে সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়ে থাকেন, তাহলে কী প্রধানমন্ত্রী গুজরাট বিধানসভাসভায় ভুল তথ্য দেননি! এই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।