‘লবিবাজি’ বন্ধ হোক, ফেসবুকে সরব মুকুল অনুগামী অনুপম
মুকুল রায়ের ‘প্রস্থান’-এর দিনেই উল্টো সুর বিজেপি (BJP) নেতা অনুপম হাজরার। দলের ভিতরে ‘লবিবাজি’ চলছে বলে অভিযোগ তুললেন তিনি। তবে তিনি ‘বেসুরো’ এমনটা যাতে না বলা হয় সেটা জানিয়ে অনুপম ফেসবুকে (Facebook) বাংলা-ইংরেজি মিলিয়ে লিখেছেন, ‘বিজেপি-তে আছি এবং বিজেপি-তে থাকব। শুধু বঙ্গ বিজেপি-তে নোংরা লবিবাজি বন্ধ করার উদ্দেশে এই বার্তা।’
প্রসঙ্গত, মুকুলের হাত ধরেই বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন একদা তৃণমূল সাংসদ অনুপম। দলবিরোধী কাজের অভিযোগে তৃণমূল (Trinamool) বহিষ্কার করলে বিজেপি-তে যোগ দেন বোলপুরের এই প্রাক্তন সাংসদ। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর আসন থেকে বিজেপি-র হয়ে লড়াই করলেও জিততে পারেননি অনুপম। মুকুল যে দিন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি হন সেই দিনই অনুপমকে সর্বভারতীয় সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। এর পরে তাঁকে বিহারের সহ-পর্যবেক্ষক করে দেওয়া হয়। গেরুয়া শিবির সূত্রে জানা যায়, বাংলার রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই অনুপমকে ওই ‘সম্মানজনক’ দায়িত্ব দেওয়া হয়। ফলে বিধানসভা নির্বাচনে কোনও ভূমিকা ছিল অনুপমের (Anupam Hazra)। তাঁকে দলের কোনও বৈঠকে রাজ্য নেতৃত্ব ডাকে না বলেও বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ করেছেন অনুপম। শুক্রবার ফেসবুক পোস্টে সেই ক্ষোভও উগরে দিয়েছেন তিনি।
গত মঙ্গলবার বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ডাকা বৈঠকে মুকুলকেও ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছিল। অনুপমের পোস্টে কি সেই অভিযোগেরও ইঙ্গিত রয়েছে? প্রশ্ন উঠেছে বিজেপি-তে। কারণ, তিনি লিখেছেন, ‘আশা রাখছি, এ বার বঙ্গ বিজেপি-র আগামী দিনের বৈঠকগুলিতে নিয়ম মতো আমন্ত্রণ পাব।’
অনুপম তাঁর পোস্টে বিজেপি-র পরিষদীয় দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, ডোমজুড়ের প্রার্থী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেও আঙুল তুলেছেন। নামোল্লেখ না করে তিনি লিখেছেন, ‘নির্বাচন চলাকালীন দু-এক জন নেতাকে নিয়ে অতি মাতামাতি করা এবং যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও লবিবাজি করে বাকিদের বসিয়ে রেখে অবজ্ঞা বা অপমান করার করুণ পরিণতি।’ একই সঙ্গে লিখেছেন, ‘চার্টার্ড বিমানের রয়্যাল যাত্রীরাও মিসিং।’ সেই সঙ্গে অনুপমের পরামর্শ, লবিবাজি বন্ধ করে রাজ্য বিজেপি-র নেতারা যোগ্যতা অনুসারে বসে থাকা নেতাদের কাজে লাগাক।