৬৬৬ পুলিস কর্মী নিয়োগ করবে রাজ্য
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হল কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা। ৬৬৬ জন নতুন পুলিস কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে। মূলত বনগাঁ পুলিস জেলা ও বারাসত পুলিস জেলায় তাঁদের নিয়োগ করা হবে।
মমতার সরকার গত কয়েক বছরে পুরনো কয়েকটি পুলিস জেলা ভেঙে দিয়ে নতুন কয়েকটি পুলিস জেলা তৈরি করেছে। যেমন উত্তর ২৪ পরগনায় আগে একটিই পুলিস জেলা ছিল। তার মধ্যে থেকে মুখ্যমন্ত্রী আলাদা বারাকপুর এবং সল্টলেক পুলিস কমিশনারেট গড়েছেন। তাছাড়া বারাসাতকে ভেঙে বসিরহাট ও বনগাঁর জন্য আলাদা পুলিস জেলা তৈরি করা হয়েছে।
একই রকমভাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ কয়েকটি বড় জেলাকেও ভেঙে নতুন কয়েকটি পুলিস জেলা তৈরি করা হয়েছে। সেইসব পুলিস জেলায় নতুন নতুন পদ সৃষ্টি করেছে রাজ্য সরকার। সেইমতো বনগাঁ ও বারাসত পুলিস জেলার জন্য ৬৬৬টি নতুন পদের অনুমোদন করল মন্ত্রিসভার এদিনের বৈঠক।
এর আগে কলকাতা পুলিসের (police) আড়াই হাজার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এছাড়া স্বাস্থ্য, শিক্ষা সহ বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োগের জন্যও অতীতের সব মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিন বানতলা লেদার কমপ্লেক্সে কিছু ছোট সংস্থাকে জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিনের বৈঠক হয় নবান্নের ক্যাবিনেট রুমে। গত ১৫ মাসে এই প্রথম ক্যাবিনেট রুমে মন্ত্রিসভার বৈঠক হল। এর আগের বৈঠকগুলি হয়েছে নবান্ন সভাঘরে কিংবা ভার্চুয়ালালি। এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ
বিশ্বাস, অরূপ রায়, পুলক রায়, সুজিত বসু, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা সহ ১৫ জন উপস্থিত ছিলেন। অমিত মিত্র ভার্চুয়াল মাধ্যমে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে ঠিকা টেনান্সদের জন্য একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাঁরা ঠিকা আছেন তাঁরা এতদিন লিজ দিতে পারতেন না। এবার থেকে তাঁরা অনুমতি সাপেক্ষে লিজ দিতে পারবেন। এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই ব্যাপারে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। নবান্ন সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে।
ঠিকা জমিতে যাতে বাড়ি করতে পারে তার জন্য বিধানসভায় আইনের সংশোধনী পাস হয়েছিল। এদিন এই ধরনের চারটি আবেদন জমা পড়েছিল। তা অনুমোদন করল রাজ্য মন্ত্রিসভা। কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং রুলস মেনে ঠিকা টেনান্সিতে একটা পরিবর্তন এনে বাড়ি তৈরির অনুমতি দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এর ফলে উপকৃত হয়েছেন বহু মানুষ।