মমতার জলস্বপ্ন প্রকল্প দ্রুত রূপায়ণের নির্দেশ
সকলের বাড়িতে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দিতে ‘জলস্বপ্ন’ (Jal Swapna project) নামে একটি প্রকল্প নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর নির্দেশ, কাজ করতে হবে দ্রুত। তাই চলতি মাসেই ডিপিআর রেডি চাই। ইঞ্জিনিয়ারদের কাজেও নেমে পড়তে হবে সেইমতো। জানিয়ে দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের (পিএইচই) মন্ত্রী পুলক রায়।
জেলা ধরে ধরে বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে যাবে। উত্তর ২৪ পরগনার জন্য লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৩৫২টি বাড়ি। সংখ্যাটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্ষেত্রে ১০ লাখ ৪৯ হাজার ৭২০। হাওড়ার লক্ষ্যমাত্রা ৩ লক্ষ ৬ হাজার ৬২৪। হুগলিতে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে ৩ লাখ ৯৮ হাজার ২৩৩। আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে এক কোটি গ্ৰামীণ পরিবারে পাইপলাইনের মাধ্যমে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া দেবে মমতার সরকার।
রাজ্যে গ্ৰামীণ পরিবারের মোট সংখ্যা ১ কোটি ৬৩ লক্ষ। তার মধ্যে মাত্র ১৬ লক্ষ বাড়িতে পরিস্রুত জল এখনই যাচ্ছে। বাকি ৮৪ লক্ষ পরিবারের সুরাহা মিলবে চলতি অর্থবর্ষের ভিতরেই। জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায় সোমবার বিকেলে দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সমস্ত এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, সুপারিনটেনডিং ইঞ্জিনিয়ার এবং চিফ ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে বৈঠকটি হয় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে। বৈঠকে জলস্বপ্ন-এর অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন মন্ত্রী। গ্ৰামের সমস্ত স্কুল এবং আইসিডিএস কেন্দ্রেও এই জল পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে পিএইচই। মন্ত্রী বলেন, সব গ্ৰামে পানীয় জল পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু সব বাড়িতে পৌঁছয়নি। আমরা লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিয়েছি। এই অসমাপ্ত কাজ আমরা শেষ করব একেবারে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। গঙ্গা বা অন্যান্য নদী থেকে জল তুলে পরিশোধন করে সাপ্লাই করা হবে। টাকার অভাব নেই। বর্ষাকালে কাজ করার কিছুটা সমস্যা হতে পারে। আছে করোনারও সমস্যা। তার মধ্যেও কাজে গতিবৃদ্ধিই আমাদের লক্ষ্য।
মন্ত্রী বলেন, কোন কোন গ্রামে জলের সমস্যা বেশি তার একটি সমীক্ষা করবেন দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা। সেইসঙ্গে ঠিক হয়েছে ৬৪ হাজার ৬২৪টি স্কুল এবং ৮৪ হাজার ৭৬২টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে জলের লাইন পৌঁছে দেয়া হবে। গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে ৮৬৮টি ভিলেজ ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন কমিটি তৈরি করারও লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে সরকার।