উত্তরবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

মুকুলের দলবদলে উত্তরবঙ্গ বিজেপিতেও ভাঙনের আশঙ্কা

June 12, 2021 | 2 min read

মুকুল রায় (Mukul Roy) তৃণমূল কংগ্রেসে (Trinamool) ফিরতেই উত্তরবঙ্গ বিজেপিতেও (North Bengal BJP) বড়সড় ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মুকুল রায়ের হাত ধরে উত্তরবঙ্গের যেসব নেতা-নেত্রী তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গিয়েছিলেন তাঁদের একটা বড় অংশ আবার মুকুল রায়ের হাত ধরেই তৃণমূলে ফিরে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা উত্তরবঙ্গের বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের। 

আবার সদ্য বিজেপিতে এসে যাঁরা দমবন্ধ অবস্থায় পড়েছিলেন বলে মনে করছিলেন, উত্তরবঙ্গের সেইরকম বহু প্রাক্তন তৃণমূল নেতা-নেত্রীও শুক্রবার মুকুল রায়ের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনে উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন। অনেকেই মনে করছেন, মুকুল রায় দলে ফেরায় এবার হয়তো তাঁদেরও তৃণমূলে ফেরার ক্ষেত্রেও সবুজ সংকেত মিলতে পারে। 

এদিন মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের রাজনৈতিক মহলে এ নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। আর সেই আলোচনার সম্ভাব্য অনেক নামের কেন্দ্রবিন্দুতে দু’টি নাম উঠে এসেছে। তাঁরা হলেন ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে সদ্য নির্বাচিত বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় এবং বিধানসভা ভোটের কয়েকদিন আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শিলিগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলার নান্টু পাল। 
শিখাদেবী মুকুল রায়ের হাত ধরেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা আসনে তাঁর টিকিট পাওয়ার ক্ষেত্রে মুকুল রায়ের বিরাট ভূমিকা ছিল। শিখাদেবীর মতো উত্তরবঙ্গের আরও বেশ কয়েকজন বিধায়ক এবং শীর্ষ নেতা-নেত্রীকে নিয়ে দলত্যাগের আশঙ্কা রয়েছে বিজেপি নেতৃত্বের।  যদিও এ নিয়ে কেউ মুখ খুলতে না চাইলেও শিখাদেবী তাঁর দলছাড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। 
তিনি বলেন, আমার রাজনৈতিক জীবনে মুকুল রায়ের ভূমিকা আমি অস্বীকার করতে পারি না। তিনি আমাকে যথেষ্ট স্নেহ করেন। সেই কথা আমি এখনও বলব। তবে আমার রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে এখন তাঁর কোনও প্রভাব থাকবে না। আমি বিজেপিতে আছি, বিজেপিতেই থাকব। 

এদিকে শিলিগুড়ি আসনে টিকিট না পাওয়ায় বিদ্রোহ করে প্রথমে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রাক্তন কাউন্সিলার নান্টু পাল। পরে ভোটের কয়েকদিন আগে স্ত্রী মঞ্জুশ্রী পালকে সঙ্গে নিয়ে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপিতে যোগ দিলেও নান্টুবাবু ও তাঁর স্ত্রীকে সেভাবে বিজেপির হয়ে কাজ করতে দেখা যাচ্ছিল না। করোনাকালে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে নান্টুবাবুকে যেক’দিন রাস্তায় দেখা গিয়েছে সেখানেও তাঁর পেছনে ছিল না বিজেপির ব্যানার। তিনি তাঁর বিধান স্পোটিং ক্লাবের ব্যানার নিয়ে মানুষের সেবার কাজ করছেন। আর তাতেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা, নান্টুবাবু বিজেপিতে পদ এবং গুরুত্ব না পেয়ে দমবন্ধ হওয়ার মতো অবস্থা রয়েছেন। এই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ভোটের পর পর তিনি তৃণমূলে ফেরার চেষ্টায় যোগাযোগ শুরু করেছিলেন বলেও তাঁর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে জানা গিয়েছে। কিন্তু, সাড়া মেলেনি। 

এদিন মুকুল রায় তৃণমূলে ফেরাটা নান্টুবাবু ও অন্যদেরও উজ্জীবিত করবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। নান্টুবাবু এদিন বলেন, এখনই এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করার সময় আসেনি। ভবিষ্যতই সব বলবে। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#North Bengal, #bjp

আরো দেখুন