মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে বিয়ে সোশ্যালিজমের, রসিকতা নেটিজেনদের
তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) কাত্তুর গ্রামের এ মোহন। রাজনৈতিক মহলে অবশ্য লেনিন মোহন বলে বেশি পরিচিত। ছেলের বিয়ের ঠিক করেছেন পি মমতা ব্যানার্জীর (P Mamata Banerjee) সঙ্গে। পাত্রের নামটাও ভারী অদ্ভুত—এ এম সোশ্যালিজম (A M Socialism)। বিয়ের দিনক্ষণও ঠিক। কার্ড ছাপিয়ে আমন্ত্রণ করার কাজও শেষ। মমতা আর সোশ্যালিজমের বিয়ের সেই কার্ড নিয়ে এখন হইহই কাণ্ড গোটা দেশেই! রসিকতায় মাতলেন নেটিজেনরা। চলল গুরুগম্ভীর রাজনীতির চর্চাও।
কমিউনিস্ট একটা ঐতিহ্যকে বয়ে চলে কাত্তুর গ্রাম। গ্রামে কেউ জন্মগ্রহণ করলে গর্বের সঙ্গে নাম রাখেন রাশিয়া, মস্কো, যুগোশ্লাভিয়া, রোমানিয়া, ভিয়েতনাম প্রভৃতি। অনেকে আবার বিশ্ববরেণ্য কমিউনিস্ট নেতাদের নামেও ছেলেমেয়েদের নাম রাখেন। যেমন, লেনিন, কার্ল মার্কস। লেনিন মোহনেরও নাম রেখেছিলেন তাঁর বাবা। সেই পরম্মরা মেনে নিজের তিন ছেলের নাম রেখেছিলেন—এ এম সোশ্যালিজম, এ এম কমিউনিজম এবং এ এম লেনিনিজম।
ছেলে সোশ্যালিজমের সঙ্গে পি মমতা ব্যানার্জীর বিয়ে দিতে চলেছেন মোহন। মোহন সালেম জেলা সিপিএমের সম্পাদক। এলাকার কাউন্সিলারও। মোহন বলছিলেন, ‘রাজনীতির আদর্শকে ধরে রাখতেই আমাদের গ্রামে নামকরণের এমন চল। বহুকাল ধরেই এটা চলে আসছে।’ কিন্তু এতো গেল লেনিন, মার্কসের আদর্শকে ধরে রাখার তাগিদ। তা হলে মমতা কেন?
খোলাসা করলেন মোহন। ‘পি ব্যানার্জী আসলে আমাদের এক আত্মীয়ের মেয়ে। তাঁর ঠাকুর্দা ছিলেন দাপুটে কংগ্রেস নেতা। বংশ পরম্পরায় ওঁদের পরিবার কংগ্রেসি। বাংলার লড়াকু নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতি ও আদর্শ ওঁদেরকে উদ্বুদ্ধ করে। তাই পরিবারে মেয়ে জন্মগ্রহণ করতেই তাঁর নাম রাখেন পি মমতা ব্যানার্জী। আমাদের দু’টি পরিবার রাজনীতিতে মতাদর্শগতভাবে ভিন্ন হলেও আত্মীয়তার ক্ষেত্রে তার কোনও প্রভাব পড়েনি, পড়বেও না।’
কিন্তু এখন তো নেটিজেনদের মুখ বন্ধ করতে পারছেন না মোহন। মমতা-সোশ্যালিজমের বিয়ে নিয়ে মজেছেন তাঁরা। বিয়ের কার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে রসিক মন্তব্য। কেউ কেউ সিরিয়াসলি মমতার ভাবনার সঙ্গে ‘সোশ্যালিজম’-কে মেলাচ্ছেন। আর বলছেন, ‘নতুন জুটি মন্দ হবে না। বিয়েতেও রাজনীতির এমন সুন্দর মেলবন্ধন সত্যিই বিরল!’