রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

মুকুলের দলবদলে গুরুত্ব কমতে পারে কৈলাসের

June 12, 2021 | 2 min read

শুক্রবার মুকুল রায়ের দলত্যাগের পরেই কার্যত গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে বিজেপিতে (BJP)। দলের অন্যতম সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে (Kailash Vijayvargiya) কেন্দ্র করে প্রবল ক্ষোভ শুরু হয়েছে নেতৃত্বের একটি বড় অংশের মধ্যে। এমনিতেই এবারের বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ভরাডুবির পর দলীয় নেতৃত্বের একটি অংশ অভিযোগের আঙুল তুলছিল কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন, শিবপ্রকাশের মতো বাংলার ভারপ্রাপ্ত নেতাদের দিকেই। এদিন বিজেপি সঙ্গ ত্যাগ করে সপুত্র মুকুল রায়ের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান গেরুয়া শিবিরের নেতা, কর্মী এবং সমর্থকদের একটি বড় অংশের ক্ষোভকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

শুক্রবার মুকুলবাবুর দলত্যাগের পরেই কৈলাস বিজয়বর্গীয়র বিরুদ্ধে তুমুল তোপ দেগেছেন বঙ্গ বিজেপির দু’জন এমপি। এদিন দিল্লিতে বিজেপি এমপি সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘বাংলায় যিনি দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক ছিলেন, তিনি অত্যধিক প্রশ্রয় দিয়েছেন ওই নেতাকে। মূলত তাঁর জন্যই আজ এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।’ প্রতিবাদে আজ, শনিবার যমুনার পাড়ে গিয়ে মস্তক মুণ্ডনের দাবিও করেছেন সৌমিত্র। কৈলাস বিজয়বর্গীয়র দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে আরেক সংসদ সদস্য অর্জুন সিং বলেছেন, ‘কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে আমরা বারবার বলেছিলাম যাতে, মুকুল রায়কে বিশ্বাস না করা হয়। কারণ তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের প্রথম থেকেই যোগাযোগ ছিল। দলের অভ্যন্তরীণ খবর মুকুল রায় বাইরে পাচার করেছেন।’ এদিন অর্জুনবাবু সাফ জানিয়েছেন, ‘আমাদের লোকও তৃণমূলের ভিতরে রয়েছেন। ফলে মুকুলবাবু কী করেছেন, কোন খবর বাইরে ছড়িয়ে দিয়েছেন, সব খবরই আমরা পেয়েছি।’ কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু মুকুলবাবুর দলত্যাগের পর থেকেই তিনি আর ফোন ধরেননি। হোয়াটস অ্যাপ মেসেজেরও জবাব দেননি।

এদিন এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে প্রশ্ন করা হলে তিনিও কোনও উত্তর দিতে চাননি। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৩ নভেম্বর কৈলাস বিজয়বর্গীয়র হাত ধরেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মুকুলবাবু। শুধু মুকুল রায়ই নয়, অন্য দল ভাঙিয়ে একের পর এক নেতাকে বিজেপিতে শামিল করানোর নেপথ্য কারিগর ছিলেন তিনিই। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে ক্ষোভ বাড়ছে কৈলাসের বিরুদ্ধে। ফলে সবমিলিয়ে গুরুত্ব কমতে পারে তাঁর। বিজেপির অন্দরের খবর, বাংলার সামগ্রিক পরিস্থিতির কারণে বঙ্গ বিজেপির দলবদলু এমপিদের সঙ্গে দেখা করার ব্যাপারেও তীব্র অনীহা তৈরি হয়েছে দলের সর্বভারতীয় নেতৃত্বের। যে কারণে গত তিনদিন ধরে দিল্লিতে বসে থাকলেও এখনও পর্যন্ত বঙ্গ বিজেপির তিনজন এমপি দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে সাক্ষাতের সময়টুকু পর্যন্ত পাননি। এদিনই বিজেপি নেতা তথাগত রায় ট্যুইটে লিখেছেন, ‘মল মূত্র ত্যাগ করলে মানুষ দুর্বল হয় না, সবলই হয়’। দলের অন্যতম সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরার অবশ্য অভিযোগ, বঙ্গ বিজেপিতে নোংরা লবিবাজি চলছে। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Kailash Vijayvargiya, #bjp

আরো দেখুন