কোভিড টিকা, ওষুধের ওপর কর বহাল, কেন্দ্রের নীতিকে কটাক্ষ তৃণমূলের
বিভিন্ন মহল থেকে চাপ আসছিল। বিরোধীরা এককাট্টা হয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন। কিন্তু অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman) অনড়। করোনা টিকার (Covid Vaccine) জিএসটির (GST) দরে কোনও বদল তিনি আনলেন না। তবে, করোনা চিকিৎসা সংক্রান্ত কিছু সামগ্রীর কর আগের তুলনায় কমছে। যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধ রেমডেসিভির। যা কিনা করোনার চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত পণ্যগুলির মধ্যে একটি। রেমডেসিভিরে জিএসটি ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হল ৫ শতাংশ। একই হারে কর কমল হেপারিনেরও। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত দুটি ওষুধ টসিলিজুম্যাব ইনজেকশন এবং এমফোটেরিসিন বির উপর কোনও কর নেবে না কেন্দ্র। শনিবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে। কিন্তু পুরোপুরি করমুক্ত করা হল না করোনায় ব্যবহৃত অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী।
আর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেই আজ তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) এবং তৃণমূলের (TMC) রাজ্যসভা সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। ব্রাত্য বসু বলেন, কোভিড অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীতে জিএসটি ছাড় দেওয়ার আর্জি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ৯ মে চিঠি লিখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তা সত্বেও জিএসটি বহাল রাখার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সরকার জনবিরোধী সরকার। আগামী ৩০ শে সেপ্টেম্বর অবধি এই কর লাঘু থাকবে।
সুখেন্দু শেখর রায় (Sukhendu Sekhar Ray) বলেন, গোটা দেশে অক্সিজেন, ওষুধের অভাবে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারালেন, গঙ্গায় লাশ ভাসানো হল, নদীর চরে মৃতদেহ পুঁতে দেওয়া হল। ভারতবাসী হিসেবে আমাদের মাথা হেট হয়ে গেছে। আমরা চাই অবিলম্বে জনস্বার্থে এই কর প্রত্যাহার করা হোক।
উল্লেখযোগ্য, শনিবারই কেন্দ্র জানিয়েছে, অ্যাম্বুল্যান্সের উপর জিএসটি নেওয়া হবে ১২ শতাংশ। তবে আরটিপিসিআর যন্ত্র, আরএনএ এক্সট্র্যাকশন যন্ত্র, জিনোম সিকোয়েন্সিং যন্ত্রের উপর আগের মতোই ১৮ শতাংশ জিএসটি বহাল থাকবে। জিনোম সিকোয়েন্সিং কিটের উপর আগের মতোই ১২ শতাংশ জিএসটি নেওয়া হবে।