জিএসটি বৈঠকেও বাংলার কণ্ঠরোধ, অমিত মিত্রের অভিযোগ নিয়ে চাপানউতোর
জিএসটি বৈঠকেও বাংলার কণ্ঠরোধ! বাংলার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের অভিযোগ, জিএসটি কাউন্সিলের শনিবারের বৈঠকে তাঁর পর্যবেক্ষণ নিয়ে আলোচনা হলেও সে সম্পর্কে তাঁকে বলতে দেওয়া হয়নি। বদলে উত্তরপ্রদেশের অর্থমন্ত্রীকে বলার সুযোগ করে দেওয়া হয়। এ নিয়ে অমিত মিত্র কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে চিঠিও দিয়েছেন।
শনিবার ছিল জিএসটি কাউন্সিলের ৪৪তম বৈঠক। কোভিড পরিস্থিতি করোনা মোকাবিলার ওষুধ, টিকা-সহ চিকিৎসা সামগ্রীর উপর জিএসটি কমানো নিয়ে আলোচনা হয়। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকের শেষভাগে অমিত মিত্রের পর্যবেক্ষণ নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু সেই সময় বলতে চেয়ে বারবার আবেদন জানালেও কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি বাংলার অর্থমন্ত্রীকে। এমনই অভিযোগ করেছেন অমিত মিত্র।
অভিযোগ জানিয়ে অমিত মিত্র (Amit Mitra) কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে (Nirmala Sitharaman) চিঠি লিখেছেন। তাতে তিনি লেখেন, “অত্যন্ত মর্মাহত হয়ে আমি চিঠি লিখছি। জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের শেষদিকে আপনার বক্তব্যে (নির্মলা সীতারমণ) বারবার আমার করা পর্যবেক্ষণ উঠে আসে। আমার নাম করেই সেগুলি বলছিলেন আপনি। আমি তার জবাব দিতে বারবার আবেদন জানালেও আমাকে বলতে দেওয়া হয়নি। বরং উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রীকে বলার সুযোগ করে দেওয়া হয়। এবং তিনি আমার সেই পর্যবেক্ষণগুলি আমার নাম সমেত মোছার কথা বললে আপনি তা মেনে নেন।”
অভ্যাসমতই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। টুইটারে তিনি জানিয়েছেন, “অমিত মিত্র যা অভিযোগ করছেন, এরকম কিছুই বৈঠকে ঘটেনি। এটা খুব দুঃখের যে, অমিত মিত্রের মতো বর্ষীয়ান নেতা এহেন অভিযোগ করছেন।” তিনি আরও জানান, জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে কাউকেউ চুপ করান না নির্মলা সীতারমণ। সকলের কথা ধৈর্য্য ধরে শোনেন তিনি। এ প্রসঙ্গে অনুরাগ আরও জানান, “অমিত মিত্রের ভিডিয়োর সংযোগ ভালো ছিল না। রাজস্ব সচিব বারবার অমিত মিত্রকে জানাচ্ছিলেন যে তাঁর সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য পেশের সময় অমিত মিত্রকে কেউই শুনতে পারেননি।”