২৬ জুন ধর্নায় কৃষকরা, সরাসরি রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপের দাবি
বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন (Farm Laws) বাতিলের দাবিতে এবার সরাসরি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হস্তক্ষেপ চাইছেন আন্দোলনরত কৃষকরা। শুধু তাই নয়। নিজেদের দাবি আদায়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন আরও তীব্র করছেন কৃষকরা।
শনিবার সংযুক্ত কিষান মোর্চার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ২৬ জুন কৃষক আন্দোলনের সাত মাস পূর্তিতে দেশের সমস্ত রাজ্যের রাজভবনের সামনে ধর্না-অবস্থান করবেন আন্দোলনকারীরা (Farmers Protest)। জমা দেবেন স্মারকলিপি। এদিন ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের অন্যতম শীর্ষ নেতা রাকেশ টিকায়েত বলেছেন, ‘২৬ জুন আমরা কোনও রাজভবন ঘেরাও করব না। এমনকী রাজ্যপালের উদ্দেশে কালো পতাকাও দেখাব না। আমরা শুধুমাত্র রাজ্যপালের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জানাব যাতে, তিনি কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়ে হস্তক্ষেপ করেন। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের কথা শুনছে না। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়াও শুরু করছে না। বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্যপালকে যে স্মারকলিপি দেওয়া হবে, তা দেশের রাষ্ট্রপতির উদ্দেশেই লেখা হবে।’
সংযুক্ত কিষান মোর্চা জানিয়েছে, আন্দোলনের সাত মাস পূর্তিকে ‘কৃষি বাঁচাও, গণতন্ত্র বাঁচাও দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে। একইসঙ্গে কেন্দ্রের শাসক দলের অস্বস্তি দ্বিগুণ বৃদ্ধি করে এদিনই সংযুক্ত কিষান মোর্চা হুঁশিয়ারি দিয়েছে, হরিয়ানার গ্রামগুলিতে বিজেপি এবং তার সহযোগী জেজেপির নেতা, বিধায়কদের জন্য ‘গাঁও বন্দি’ কর্মসূচি চালিয়েই যাবে রাজ্যের কৃষক সংগঠনগুলি। ওই দলগুলির কোনও নেতাকেই যাতে গ্রামে ঢুকতে না দেওয়া হয়, এমনকী কোনও সামাজিক অনুষ্ঠানেও আমন্ত্রণ জানানো না হয়, সেই ব্যাপারে গ্রামবাসীদের কাছে আর্জি জানাবে কৃষক সংগঠনগুলি।
উল্লেখ্য, এদিনই দিল্লি পুলিস জানিয়েছে, দিল্লি-হরিয়ানার সিংঘু সীমানায় সাদা পোশাকের দুজন পুলিসকর্মীকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করেছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। অভিযোগ উড়িয়ে রাকেশ টিকায়েত বলেছেন, ‘কৃষকরা কোনও হিংসার ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন।’