কুণালের সাথে বৈঠকে কি গঙ্গাজলে শুদ্ধ হয়ে গেছে? রাজীবকে কটাক্ষ কল্যাণের
শনিবার কুণাল ঘোষের সঙ্গে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee) ‘সৌজন্যমূলক’ সাক্ষাতের পর থেকেই ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়কের তৃণমূলে ফিরে আসার জল্পনা তুঙ্গে। তাই নিয়ে রাজীবকে বার বার আক্রমণ করে চলেছেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার তোপ দেগে তিনি বলেন, ‘‘রাজীব কুণালের সঙ্গে দেখা করেছেন বলে কি গঙ্গাজলে শুদ্ধ হয়ে গেলেন? উনি আমাদের কর্মীদের উপর কম অত্যাচার করেছেন না কি? কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে তাড়া করিয়েছেন।’’
রাজীবের কোনও মূল্য নেই বলে শনিবারই কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছিলেন কল্যাণ (Kalyan Banerjee)। বলেছিলেন, ‘‘ডোমজুড়ে অনেক খেটে ওকে ৪৩ হাজার ভোটে হারিয়েছি আমরা। সাধারণ কর্মী হিসাবে দল বলেছে, লড়াই করেছি। প্রমাণ করে দিয়েছি রাজীব কেউ না।’’ এ বার ‘বেসুরো’ বিজেপি নেতার ফেসবুক পোস্টের প্রসঙ্গ টেনে কল্যাণ বলেন, ‘‘এখন ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বলছে! ভোটের পাঁচ দিন আগে বাঁকরায় কট্টর হিন্দুত্ববাদী লোকদের নিয়ে এসে মিছিল করে দাঙ্গা লাগাতে চেয়েছিল। পর্যবেক্ষকদের নির্দেশে পুলিশ সেই মিছিল আটকায়।’’
রাজীবের তৃণমূলে ফেরার জল্পনা শুরু হতেই ডোমজুড়ের একাধিক এলাকায় প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীবের নামে একের পর এক পোস্টার পড়া শুরু হয়েছে। কর্মীদের ক্ষোভ প্রসঙ্গে কল্যাণ বলেন, ‘‘কর্মীদের ক্ষোভ তো থাকবেই। আমারও রয়েছে। কারণ কর্মীরাই দলের হয়ে কাজ করে। শীর্ষ নেতৃত্ব আর একেবারে বুথ স্তরের কর্মীদের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি দলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও তো অনেক কথা বলেছে রাজীব।’’
রাজীবের পাশাপাশি উত্তরপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক প্রবীর ঘোষলেরও তৃণমূলে ফেরা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে। সেই আবহেই উত্তরপাড়া কেন্দ্রের বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক বলেন, ‘‘আমাদের দলটা হল অক্সিজেন পার্লার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন অক্সিজেন সিলিন্ডার, যাঁকে ছেড়ে গেলে অক্সিজেনের অভাব হবেই। যাঁরা দলে থেকে বলেছেন, দম বন্ধ হয়ে আসছে, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলব অন্য কোনও দলে এত অক্সিজেন পাবেন না। দেখা যাক, নেত্রী কী বলেন।’’