শোভনকে হানি ট্র্যাপে ফাঁসাতে বৈশাখীর চক্রান্ত, বিস্ফোরক রত্না
আক্রমণ ফিরিয়ে দিলেন রত্না। জানালেন, তাঁর বিধায়ক হওয়াটা হজম করতে পারছেন না বৈশাখী-শোভন। তাই তাঁকে আক্রমণ করার ফন্দিফিকির করছেন। তবে শুধু বৈশাখী এবং শোভন নয়, এদিন রত্না চট্টোপাধ্যায়ের (Ratna Chatterjee) নিশানায় ছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বামী মনোজিৎ মণ্ডলও। শোভন চট্টোপাধ্যায়কে হানি ট্র্যাপে ফেলতে পুরোটাই মনোজিৎ-বৈশাখীর চক্রান্ত, দাবি শোভন পত্নীর।
বিতর্কের সূত্রপাত শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Baishakhi Banerjee) একটি ফেসবুক ভিডিয়োকে কেন্দ্র করে। এই ভিডিয়োতে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee)। স্ত্রীকে ব্যভিচারিণীও বলেন শোভন। সোশ্যাল মিডিয়ায় রত্না চট্টোপাধ্যায়ের কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন তিনি, যেখানে দেখা যায় একটি দোলনায় অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে বসে শোভন জায়া। কে এই পুরুষ? প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলেন শোভন বৈশাখী।
এবার এই যাবতীয় আক্রমণের পালটা ময়দানে নামলেন রত্না চট্টোপাধ্যায়ও। ক্ষুব্ধ রত্নার দাবি, ‘ওরা আমার দলের ছেলে। এই ছবিতে শুধু আমরা দুজনে ছিলাম এমনটা নয়। আমার সঙ্গে একাধিকজন ছিল।আসলে এসব বলে নিজেদের ফ্রাস্টেশন বার করার চেষ্টা করছে বাংলার কলঙ্গিত নায়ক নায়িকা। ওদের দুজনকে দেখে বাংলার তরুণ প্রজন্ম উচ্ছন্নে যাচ্ছে।’
এদিন শোভন চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন রত্না চট্টোপাধ্যায় দিঘাতে পার্টি করেন, উদ্দাম জীবন যাপন করেন। শোভনের এই আক্রমণের পালটা রত্না বলেন, ‘বেশ করেছি। আমি কোনও স্ত্রীর স্বামীকে নিয়ে লিভ ইন করছি না। প্রয়োজনে ওর ঘরে ঢুকে পার্টি করব। গায়ের মধ্যে লঙ্কা গুঁড়ো দিলে যেমন জ্বলন হয়, আমাকে বিধায়ক হতে দেখে ঠিক সেভাবেই জ্বলছেন বৈশাখী। আমি আরও উপরে উঠব। আর তোরা পাতালে চলে যাবি।’ এদিন বৈশাখীর স্বামী মনোজিৎ মণ্ডল প্রসঙ্গেও বিস্ফোরক দাবি করেন রত্না। তিনি বলেন, ‘বৈশাখীর স্বামী একটা গাড়ল। বলে পরকীয়া নাকি আইনি করা উচিত। স্বামী-স্ত্রী দুটোকেই ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে পেটানো উচিত। মনোজিৎ মণ্ডলই নিজের স্ত্রীকে আমার কাছে পাঠিয়েছিল হানি ট্র্যাপে ফেলতে। আমার জীবনটা শেষ করে দিতে চেয়েছিল, পারেনি। আর আমার বর! চোখের সামনে দেখছিস বউ বিধায়ক আর নিজে ঘরে বসে আসে। আমার বরটা ও’রকম ছিল না।ওর নামে কেউ কিছু বললে আমার খারাপ লাগে।’ অর্থাৎ শোভন চট্টোপাধ্যায়কে তোপ দাগলেও এদিন রত্নার নিশানায় ছিল মূলত মনোজিৎ-বৈশাখী।
এদিকে মুকুল রায়ের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের পর শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ‘ ঘরে ফেরা’ নিয়ে জল্পনা আরও জোরাল হয়। যদিও রত্না চট্টোপাধ্যায় এদিন দাবি করেন, শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃণমূল নেবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করেছেন তাঁরা, দাবি রত্নার। তিনি আরও বলেন, ‘হাস্যকর কাপল! মানে কাপল ছাড়া আর ওদের কী বলি! কাজ নেই নিজেরাই নিজেদের ইন্টারভিউ নিচ্ছে।’