‘লকডাউন’ নিয়ে সোমবার সিদ্ধান্ত নিতে পারে নবান্ন জল্পনা ১৬ থেকেই বাস চালু নিয়ে
রাজ্যে সংক্রমণের (Coronavirus) হার অনেকটাই নিম্নমুখী। এই পরিস্থিতিতে ১৫ জুনের পরে নিয়ন্ত্রণবিধি নিয়ে রাজ্য প্রশাসন কী সিদ্ধান্ত নেবে তা নিয়ে জল্পনা চলছে সমাজের নানা স্তরে। প্রশাসনের খবর, এ ব্যাপারে আগামিকাল, সোমবার সিদ্ধান্ত জানাতে পারে সরকার। স্বাস্থ্য-বিশেষজ্ঞ এবং প্রশাসনিক কর্তাদের অনেকেরই বক্তব্য, সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে এই পথ অনেকটাই কার্যকর হয়েছে। তবে নিয়ন্ত্রণবিধি জারি থাকার জন্য অর্থনৈতিক দিক থেকে রাজ্যের উপর চাপ ক্রমশ বাড়ছে।
প্রশাসনের অন্দরের খবর, এই পরিস্থিতিতে কী করা উচিত সে ব্যাপারে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে অনেকে মনে করছেন, নিয়ন্ত্রণবিধির মেয়াদ সামান্য বাড়লেও সব দিক বিবেচনা করে কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হতে পারে। কিন্তু এখনই নিয়ন্ত্রণবিধি পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হবে না বলেই মনেকরা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত ১৬ মে নিয়ন্ত্রণবিধি চালু হওয়ার আগে রাজ্যে সংক্রমণের সংখ্যা দৈনিক প্রায় ২০ হাজারে পৌঁছে গিয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে ১৫ দিনের জন্য এই নিয়ন্ত্রণবিধি চালু করা হলেও, পরে অবশ্য তা বাড়িয়ে ১৫ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।
রাজ্যের অভিজ্ঞ আমলাদের অনেকেই মনে করছেন, অতি প্রয়োজনীয় এবং প্রয়োজনীয় গতিবিধিগুলিতে ছাড় কিছুটা বাড়িয়ে তুলনায় কম জরুরি কাজগুলিতে নিয়ন্ত্রণ আরও কিছুদিনের জন্য চালিয়ে যেতে পারে রাজ্য। প্রসঙ্গত, বণিকসভা এবং বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে গত বৈঠকে কয়েকটি ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ কিছুটা শিথিল করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীও। তার মধ্যে হোটেল-রেস্তোরাঁ বিকেল পাঁচটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা থাকতে পারে। শপিং মলগুলিও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রেখেই চালুর ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা রয়েছে।
নিয়ন্ত্রণবিধি কিছুটা শিথিল করলেও পরিবহণ ক্ষেত্রকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণমুক্ত করা কতটা যুক্তিযুক্ত হবে, তা-ও রয়েছেপ্রশাসনিক চর্চায়। তবে সংক্রমণ কমে আসতেই গোটা দেশে ধাপে ধাপে ট্রেনের সংখ্যা বাড়াচ্ছে রেল। ইতিমধ্যেই পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেল নতুন করে ৩৩ জোড়া দূরপাল্লার ট্রেন চালু করছে। মূলত, শিয়ালদহ, হাওড়া এবং কলকাতা স্টেশন থেকে ওই সব ট্রেন চলবে। তবে শহরতলির লোকাল ট্রেন কবে চলবে তা মূলত রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের উপরেই নির্ভর করবে। মেট্রোর ক্ষেত্রেও রাজ্যের সিদ্ধান্ত মেনে চলা হবে বলেই রেল সূত্রের খবর।