২০২৬ পর্যন্ত তৃণমূলের সাথেই আইপ্যাক
একুশের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলকে (TMC) সাফল্য এনে দিয়েছেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। তাঁর সংস্থা আইপ্যাকের দেখানো পথে হেঁটেই এবারও ২০০ আসন পার করেছে তৃণমূল। ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর ভোটের আগেই জানিয়েছিলেন, বাংলায় তৃণমূল ২০০ আসন পার করবে আর বিজেপি (BJP) ১০০ আসনও পাবে না। নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে প্রশান্ত কিশোরই ঠিক বলেছিলেন। তাঁর অঙ্ক পুরো মিলে গিয়েছে। আর এই সাফল্যের রেশ ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাই ২০২৬ পর্যন্ত আইপ্যাকের সঙ্গেই গাঁটছাড়া পাকা করে ফেলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই সময়সীমার মধ্যে থাকছে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। আর ২০২৬-এ রয়েছে বাংলায় বিধানসভা ভোট।
২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে সারা ভারতেই তৃণমূল নিজেদের ক্ষমতা বাড়াতে তৎপর। দেশেরহ রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চাইছে তৃণমূল। তবে প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে জল্পনা থাকছেই। কারণ প্রশান্ত কিশোর নিজেই আর আইপ্যাকের (IPAC) হয়ে কাজ করতে চাইছেন না। এবার নতুন কিছু করতে চান বলেই জানিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। তবে এখনও চূড়ান্ত কিছুই হয়নি।
রাজনৈতিক মহলের মতে, প্রশান্ত কিশোরকে তৃণমূলের তরপে রাজ্যসভায় পাঠানোর কথাও ভাবা হচ্ছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই স্থির হয়নি। প্রশান্ত কিশোরের হাত ধরেই তামিলনাড়ুতে সরকার গড়েছেন এমকে স্ট্যালিন। দিল্লিতেও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) সরকারে এনে দেওয়ার পিছনে রয়েছে প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্ক। অন্ধপ্রদেশে জগনমোহন রেড্ডিকে (Jagmohan Reddy) বড় জয় এনে দেওয়ার পিছনেও রয়েছে সেই প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্ক। এবার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংও(Captain Amarinder Singh) প্রশান্ত কিশোরকে নিযুক্ত করেছেন পরামর্শদাতা হিসাবে। পাঞ্জাবের রাজনীতিতেও কাজ করছে তাঁর সংস্তা আইপ্যাক।
বিজেপিকে হঠাতে প্রশান্ত কিশোরের উপরই ভরসা করছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তাই ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রশান্ত কিশোরের ভূমিকা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে। সরাসরি রাজনীতিতে যোগ দিয়ে বিজেপিকে হারাতে চাইবেন নাকি অন্য কোনও পরিকল্পনা করছেন তিনি। সেই দেখার অপেক্ষায় রয়েছে সারা দেশের রাজনৈতিক মহল।