আবার সরব নুসরত, বললেন, নারী শক্তিশালী হয়ে উঠলেই সকলের অসুবিধা হয়
নুসরত জাহানকে (Nusrat Jahan) নিয়ে হাজারো রটনা। এ দিকে বরাবরই তিনি নিজের ইচ্ছায় জীবন কাটাতে ভালবাসেন। তাই কি তাঁকে নিয়ে এত বিতর্ক? এমন প্রশ্ন নুসরত নিজেই তুলে দিলেন মঙ্গলবারের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে। আন্তর্জাতিক মানের কবি সাবা খোদিরের পংক্তি ধার করে। কবির সুরে সুর মিলিয়ে যেন সাংসদ-অভিনেত্রী বলতে চাইলেন, ‘নারীকে সবার পরামর্শ, শক্তিশালী হও। সেই নারী আপন শক্তিতে নিজের অবস্থান বদলালেই সমাজের চোখে তার পরিচয় বদলে যায়! তার নামের পাশে তখন নানা তকমা। তত ক্ষণে সেই নারী নিজের ক্ষমতায় ক্ষমতাশালী। ফলে, যতই তাকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হোক, সে কারওর কথাই শুনবে না’!
ইনস্টাগ্রাম স্টোরি বলছে, এই পংক্তির হাত ধরে কোথাও যেন সাবা খোদির আর নুসরত জাহান মিলেমিশে একাকার। অনুরাগীরাও এই স্টোরি দেখে প্রশ্ন তুলেছেন, নুসরত কি ঘুরিয়ে নিজের বর্তমান পরিস্থিতির কথাই বললেন? উত্তর জানা নেই। তবে সাংসদ-তারকার জীবনে ঘটে যাওয়া একের পর এক ঘটনা প্রমাণ করে দিয়েছে, মানসিক দিক থেকে তিনিও প্রচণ্ড দৃঢ়। নিখিল জৈন বিতর্ক, গর্ভনিরোধক বিজ্ঞাপনের মুখ হওয়া, যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে সম্পর্ক— এত গুলো ঘটনার কারণে ইতিমধ্যেই সাংসদ-তারকা বিরোধী শিবিরের কটাক্ষের শিকার। তার পরেও নুসরত নিজের বিশ্বাসে অটল।
বরাবরই নিয়মের বেড়াজাল ভাঙতে ভালবাসেন নুসরত। সমাজের রক্তচক্ষু দেখে তিনি ভয় পান না। নিখিলের সঙ্গে ‘বিয়ে’ হওয়ার পরে কটাক্ষ শুনতে হয়েছিল, কেন তিনি অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষের সঙ্গে সংসার করছেন! তার পরে মহালয়া উপলক্ষে দুর্গা সাজা নিয়েও কম আক্রমণ করা হয়নি তাঁকে। তা ছাড়া পোশাক নিয়ে, শরীর নিয়ে অশ্লীল কথায় ভর্তি তাঁর ছবি ও ভিডিয়োর মন্তব্য বাক্স। নিখিলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের নাম বদলে ফেলা থেকে শুরু করে সন্তানধারণ, সব নিয়েই কটাক্ষের মুখে অভিনেত্রী। জনৈক নেটাগরিকের কাছ থেকে তাঁকে এমনকি এই কথাও শুনতে হয়েছে, ‘এদের দেশ থেকে বার করে দেওয়া উচিত।’ কিন্তু তিনি নিজের জীবন নিজের মতো করে যাপন করছেন। সে কথা তাঁর ইনস্টাগ্রাম দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যায়।
দিন কয়েক আগেই সংবাদ মাধ্যমকে প্রকাশ্যে আনে নুসরতের বেবি বাম্পের ছবি। ইন্ডাস্ট্রিতে ভুয়ো খবর ছড়িয়েছিল, কোনও ছবির কারণেই নুসরত এই বেবি বাম্প তৈরি করেছেন। কিন্তু এই ছবি সামনে আসার পর তাঁর অন্তঃস্বত্ত্বা হওয়া নিয়ে আর কোনও সংশয় থাকে না। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সাদা হাতকাটা লম্বা ঝুলের জামা, কানে মাকড়ি ধাঁচের দুল, ঠোঁটে হালকা লিপস্টিকে হাসিমুখে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে তিনি। তাঁর চোখমুখ জুড়ে মাতৃত্বের আভা। সঙ্গে ছিলেন ইন্ডাস্ট্রির দুই বন্ধু শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় এবং তনুশ্রী চক্রবর্তী।