শুভেন্দু প্রতারণা করেছে, নাম নিতে চাইনা, দলের বিরুদ্ধে বেফাঁস সুনীল মন্ডল
যারা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসেছে, বিজেপি, তাদেরকে মানিয়ে নিতে পারছে না, সহ্য করতে পারছে না, আক্ষেপ করলেন দলবদলু সাংসদ সুনীল মন্ডল (Sunil Mondal)। এও বললেন, বিজেপি মনে করছে তাদেরকে বিশ্বাস করা ঠিক হচ্ছে না।
মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরে আসার পর ভোটের আগে বিজেপিতে (BJP) যাওয়া অনেক নেতাই এখন তৃণমূলে ফেরার জন্য তদবির করছেন, বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলছেন। আজ পূর্ব বর্ধমানে সাংবাদিক বৈঠক করে সেই ধরণেরই প্রতিক্রিয়া দিলেন সাংসদ সুনীল মন্ডল।
দেখে নিন ঠিক কী বললেন তিনি
- শুভেন্দু এসে যে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার একটাও রাখেনি। (কোন প্রতিশ্রুতি তা বলতে চাননি)। এখন শুভেন্দু ফোনটাও ধরে না।
- ভোটে জিততে গেলে বুথস্তর পর্যন্ত সংগঠন দরকার, কিন্তু বিজেপিতে সেটা নেই এবং এর জন্য আমাদের কাছে কোনও পরামর্শও নেয়নি। যারা তৃণমূল থেকে গিয়েছিল তাদের কোনও সম্মান নেই।
- নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় নেতারা এসে যে সব বলেছিলেন তা বাংলার অধিকাংশ মানুষ বুঝতে পারেনি। আমার সাত বছরের সাংসদ জীবনে আমিও হিন্দি ভালো করে বুঝি না।
- মুসলিম সম্প্রদায় নিয়ে চরম বিরোধিতায় বিজেপির বিপক্ষে গিয়েছে, মানুষ ঢেলে তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে।
- ৩৫৬ ধারা নিয়ে যা বলা হচ্ছে তা ঠিক নয়। একটা সরকার বিপুল সমর্থন নিয়ে এসেছে এখন সেগুলি কিছু বলা উচিত নয়
- তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে এখনও কিছু ভাবিনি।
- মুকুল রায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে কিনা, এই প্রশ্নে সুনীলের উত্তর, শুধু তো রাজনৈতিক কথা হতে হবে এমন নয়, ব্যক্তিগত ভাবেও কথা হয়েছে।
২০১৪ সালে, গলসির এই বাম বিধায়ক (ফরোয়ার্ড ব্লক) তৃণমূলে যোগদান করেন এবং লোকসভার টিকিট পান। পূর্ব বর্ধমান থেকে তিনি সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালে তিনি পুনর্নির্বাচিত হন। গত বছর ১৯শে ডিসেম্বর অমিত শাহের এক সভায় বিজেপিতে যোগদান করেন সুনীল মন্ডল। তার লোকসভার সদস্যপদ খারিজের জন্য একাধিক বার লোকসভার স্পিকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC), দেওয়া হয়েছে চিঠিও। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তৃণমূলকে আক্রমন করতে ছাড়েননি এই নেতা।
দেখে নিন বিজেপিতে যোগদানের পর তার কিছু বক্তব্যের অংশ।