সেলের কাঁচামাল বিভাগ স্থানান্তরিত করা নিয়ে কেন্দ্রীয়মন্ত্রীকে চিঠি অমিত মিত্রের
পূর্বাঞ্চলে কাঁচামালের সরবরাহ নিশ্চিত করতে তিন দশক আগে কলকাতায় যে কাঁচামাল বিভাগ তৈরি করেছিল সেল , আচমকাই তা গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার।
কর্মীদের অভিযোগ এর ধাক্কায় সব থেকে ক্ষতি হবে রাজ্যের দুই ইস্পাত সংস্থা বার্নপুরের ইস্কো এবং দুর্গাপুরের ডিএসপির। সংস্থা দু’টিকে দুর্বল করে বেচে দেওয়া হবে বলে আশঙ্কা করছে তারা। এ ভাবে রাজ্যে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার ঝাঁপ বন্ধ করে দেওয়া বা বেসরকারিকরণের যে পথে কেন্দ্র এগোচ্ছে তার বিরুদ্ধে যৌথ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি। এবার এই বিষয়ে খনিজসম্পদ মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে (Dharmendra Pradhan) চিঠি লিখলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র (Amit Mitra)।
চিঠিতে তিনি আশঙ্কা করে লিখেছেন কলকাতা থেকে সেলের কাঁচামাল বিভাগ সরিয়ে নিলে বহু মানুষ এই মহামারীকালে কাজ হারাবেন। এছাড়াও দুর্গাপুর এবং বার্নপুর ইস্পাত কারখানা কাঁচামালের যোগানের অভাবে অচল হয়ে পড়বে।
এছাড়াও একাধিক খনি এবং কোলিয়ারি কলকাতার সেলের কাঁচামালের ভরসাতেই চলে, তারাও অকেজো হয়ে পড়বে।
তিনি আরও লেখেন, এইরকম কিছু ঘটলে দূর্গাপুর এবং বার্নপুরের ইস্পাত কারখানাকে রাউরকেল্লা বা বোকারো থেকে কাঁচামাল আনাতে হবে, সেটাও তারা যদি দিতে রাজি হয় তাহলেই। নইলে খোলা বাজার থেকে কিনতে হবে। খোলা বাজারে যেখানে কাঁচামাল ৯,৫০০ টাকা প্রতি টন কিনতে হয় সেখানে সেল কারখানাগুলিকে ৬৫০ টাকা প্রতি টনে কাঁচামাল দিয়ে থাকে। এই বিপুল অর্থব্যয় করে কারখানাগুলির কাঁচামাল কেনা সম্ভব হবে না।
অমিত মিত্র চিঠিতে বলেন, আমার মনে হচ্ছে দুর্গাপুর, বার্নপুরের এই বিশাল দুই ইস্পাত কারখানাকে বন্ধ করতেই ইচ্ছে করে কাঁচামাল বিভাগ স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। এই দুই কারখানায় ১৪ হাজারেরও বেশি কর্মী কাজ করেন। তাঁরা বেকার হয়ে পড়বেন। এই দুই কারখানা থেকে ১৪৮৬ কোটি টাকা লাভ হয়েছে।
অর্থমন্ত্রীর আশংকা ভবিষ্যতে কারখানা দুটিকে বেচে দেওয়ার জন্যেই সরকারের এই পদক্ষেপ।