রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

চাকরির নামে প্রতারণা – শুভেন্দু ঘনিষ্ঠর মামলা গোয়েন্দা বিভাগের হাতে

June 16, 2021 | 2 min read

সেচ দফতরের আর্থিক প্রতারণা মামলার তদন্তভার তুলে দেওয়া হল কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) গোয়েন্দা বিভাগকে (Detective)। তার ফলে এ বার ওই কাণ্ডে ধৃত শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরাকে জেরা করতে পারবেন গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এর ফলে রাখালের উপর চাপ বাড়ল। Kolkata Police সেচ দফতরের আর্থিক প্রতারণা মামলার তদন্তভার তুলে দেওয়া হল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগকে। তার ফলে এ বার ওই কাণ্ডে ধৃত শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরাকে জেরা করতে পারবেন গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এর ফলে রাখালের উপর চাপ বাড়ল।

গত ৬ জুন চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে রাখালকে গ্রেফতার করেছিল মানিকতলা থানার পুলিশ। গোয়েন্দা বিভাগের হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়ায় ওই মামলার নথিপত্র গোয়েন্দা বিভাগের হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। বুধবার গোয়েন্দা বিভাগের জেরার মুখেও রাখালের পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাখালের বিরুদ্ধে মানিকতলা থানায় অভিযোগ করেন সুজিত দাস নামে অশোকনগরের এক বাসিন্দা। তার ভিত্তিতেই রাখালকে গ্রেফতার করা হয়। সুজিতের অভিযোগ, ২০১৯ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেচ এবং জল পরিবহণ দফতরের গ্রুপ ‘ডি’ পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তাঁর কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা নেন রাখাল। তাঁর অভিযোগ, ২০১৯ সালে মানিকতলা মেন রোডে সাহা ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার ফিজিক্স কোঅপারেটিভ হাউজিং সোসাইটিতে চাকরি সংক্রান্ত প্রচারও করেছিলেন রাখাল ও তাঁর সহযোগীরা।

মানিকতলা থানা ছাড়াও, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আরও কয়েকটি থানায় রাখালের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে। তাঁকে জেরা করে চঞ্চল নন্দী নামে কাঁথির এক বাসিন্দা-সহ উঠে এসেছে আরও কয়েকজনের নাম। পুলিশ সূত্রে খবর, সেচ দফতরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী চঞ্চল এখন পলাতক। ঘটনাচক্রে ২০১৯ সালের জুন থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের সেচমন্ত্রী ছিলেন বিজেপি নেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Detective, #Kolkata Police

আরো দেখুন