আবার ফেসবুক লাইভ করবেন রাজীব, ঘোষণা বড় সিদ্ধান্ত?
একুশের নির্বাচনে দলবদল করেও ডোমজুড় থেকে হেরে গিয়েছেন। তারপর থেকেই বোসুরো গাইছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। তিনিও কী তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতে চাইছেন? উঠছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই বিজেপি ঘুরে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে গিয়েছেন মুকুল রায়। তাঁর সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন রাজীব বলে সূত্রের খবর। অথচ এই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ৩০ জানুয়ারি অমিত শাহের বাসভবনে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এখন কয়েক দিন একাধিক তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বাড়িতে যাচ্ছেন।
শনিবার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ, রবিবার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তার কয়েকদিন আগে সদ্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া মুকুল রায়ের বাড়িতেও গিয়েছেন বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে একবারও তিনি বলেননি, তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে চাই। তাহলে কি এখনও পর্যন্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারছেন না রাজীব? উঠছে প্রশ্ন। সূত্রের খবর, এক্ষেত্রে ফেসবুক লাইভ করে বড় সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সময়ও এটাই করেছিলেন।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক রাজীব ঘনিষ্ঠ ডোমজুড়ের বাসিন্দা বলেন, ‘ফেসবুক লাইভ করেই রাজীব তাঁর সিদ্ধান্ত জানাবেন। তবে এখনও তারিখ ছিক হয়নি। আশা করছি কযেকদিনের মধ্যেই তা ঠিক হয়ে যাবে। বিশেষ দিন দেখেই তা করা হবে। একবার ভুল করেছেন রাজীব। আর ভুল করতে চান না তিনি। এখন সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।’ তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার আগে ফেসবুক লাইভ করেছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। তারপর রাজীব বলেছিলেন, ‘আমি আপনাদের মন্তব্যগুলি ভালো করে পড়ব, তার পরে সিদ্ধান্ত নেব।’ সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছিলেন কিন্তু সবটা বোধহয় পড়া হয়নি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।
ওই ফেসবুক লাইভের (Facebook Live) দু’ সপ্তাহের মধ্যেই অমিত শাহের বাসভবনে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন রাজীব। ‘চার্টার্ড বিমানে’ দিল্লি গিয়ে শাহী দরবারে হাজির হন তাঁরা। দলবদলের দিন রাজীব বলেন, ‘অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিলাম। এবার বিজেপির হয়ে পাখির চোখ বাংলা।’ কিন্তু ৪২ হাজারেরও বেশি ব্যবধানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে হেরেছেন তিনি। ২ মে ফলাফল ঘোষণার দিন ফেসবুকেই বলেছিলেন রাজীব, ‘যাঁরা আমাকে ভোট দিয়েছেন, তাঁদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আর যাঁরা আমাকে ভোট দেননি, তাঁদের কাছেও আমি কৃতজ্ঞ। সতীর্থ রাজনৈতিক সহকর্মীদের জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা এবং বিপক্ষ রাজনৈতিক কর্মীদের জানাই অনেক ধন্যবাদ।’
ফলপ্রকাশের পর আড়ালে চলে গেলেন প্রাক্তন মন্ত্রী। তারপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা বন্ধ করার পরামর্শ দিয়ে রাজীব লেখেন, ‘এই বিপুল জনসমর্থন নিয়ে আসা একটা সরকারের একমাস হয়েছে। সেখানে যদি কেউ ৩৫৬ ধারা জারি করতে চায় বা ধর্মীয় বিভাজন তৈরি করতে চায় তবে আমি সেই দলে থেকেও বিরোধিতা করব।’
বিধায়ক না হতে পারলেও তিনি এখন বিরোধী দলের নেতা। তাঁর বিরোধিতা করার কথা রাজ্যের শাসক দলের। কিন্তু তিনি চাইছেন রাজ্যের বিরোধী দলের বদলে শাসক দলের পাশে থেকে কেন্দ্রের বিরোধিতা করতে। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে তদন্তের হুঁশিয়ারি তাঁকে বিজেপির সঙ্গে বিচ্ছেদের পথে ঠেলে দিচ্ছে? বড় সিদ্ধান্ত নিতে ফেসবুক লাইভ করতে চলেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।