কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

নন্দীগ্রাম মামলার ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি বিজেপি-ঘনিষ্ঠ? উঠল প্রশ্ন

June 18, 2021 | 2 min read

বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের ফলকে চ্যালেঞ্জ করে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আজ, শুক্রবার বিচারপতি কৌশিক চন্দের (Kausik Chanda) এজলাসে ওই শুনানি হওয়ার কথা ছিল। সেই শুনানি আপাতত ২৪ জুন পর্যন্ত মুলতুবি হয়েছে।

এরই মধ্যে নন্দীগ্রামের ফল সংক্রান্ত এই মামলাটি বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে ওঠা নিয়ে প্রতিবাদ জানান আইনজীবীদের একাংশ। একই কারণে মামলার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। তাঁদের দাবি, বিচারপতি কৌশিক চন্দ এক সময় বিজেপি-র সক্রিয় সদস্য ছিলেন। তিনি এই মামলায় বিচারের দায়িত্বে থাকলে নিরপেক্ষভাবে বিচার হবে না। এই বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করেন আইনজীবীদের এক অংশ।

তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ ব্রায়েন টুইট করে প্রশ্ন তুলেছেন দেশের বিচারব্যবস্থা নিয়ে। কয়েকটি ছবি পোস্ট করে তাঁর প্রশ্ন, নন্দীগ্রাম মামলার ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি বিজেপির সভায় কী করছেন? কেন নন্দীগ্রামের মামলায় বিচারের দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি? বিচারব্যবস্থা আর কত নীচে নামবে?

পাশাপাশি, বিজেপির হয়ে যে সকল মামলা লড়েছিলেন কৌশিক চন্দ তার একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকাও পোস্ট করেন ডেরেক।

ডেরেকের এই বিস্ফোরক দাবির পর টুইট করে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণও ।

প্রসঙ্গত, ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮০, ৮০এ, ৮১, ১০০ এবং ১২৩ ধারায় মামলা করা হয়েছে ৷ আদালতের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে, শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ঘুষ দিয়েছেন। প্রভাব খাটিয়েছেন। জনগণের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়িয়েছেন। ধর্মের ভিত্তিতে ভোট চেয়েছেন। সরকারি আধিকারিকদের সাহায্য নিয়েছেন এবং বুথ দখল করেছেন।

রিটার্নিং অফিসারের ভূমিকা নিয়েও মামলায় প্রশ্ন তোলা হয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে, ২ মে গণনার সময় একাধিক গরমিল ও কারচুপি হয়। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দলের সহকর্মীরা পুনর্গণনার দাবি জানান। কিন্তু, কোনও কারণ ছাড়াই সেই আরজি খারিজ করে দেন রিটার্নিং অফিসার। ২১ সি ফর্মে সই করে শুভেন্দু অধিকারীকে জয়ী ঘোষণা করে দেন।

এছাড়াও আবেদনপত্রে অভিযোগ, কত ভোট মিলেছে এবং গণনা সংক্রান্ত যে ১৭ সি ফর্ম তাতেও বিস্তর কারচুপি ও গরমিল হয়েছে। সংবিধান এবং আইন সম্পূর্ণ লঙ্ঘন করে ভোট হয়েছে নন্দীগ্রামে। জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১০০ ধারা অনুযায়ী, নন্দীগ্রাম কেন্দ্রের ভোটকে বাতিল ঘোষণা করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। ভোটের ফল নিয়ে অভিযোগ থাকলে ৪৫ দিনের মধ্যে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করতে হয় ৷ রাজ্যে ভোটের ফল প্রকাশ হয় ২ মে ৷ সেই মতো ৪৫ দিনের মধ্যেই হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করা হয়েছে ৷

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#kousik chanda

আরো দেখুন